সৌদি রাজ পরিবারের গোপন খবর ফাঁস

আমিরা বিনতে আইডেন বিন নায়েফ

মুখ খুললেন যুবরাজের সাবেক স্ত্রী

সৌদি রাজ পরিবারের গোপন খবর ফাঁস

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন সৌদি আরবের রাজ পরিবারের সদস্যরা। এহেন খারাপ কাজ নেই যা তারা করেন না। তাদেরকে বাইরে থেকে যতটা ভদ্র মনে হয়, ভেতরে ঠিক ততটাই নোংরা। রাজ পরিবারে মদের আড্ডা, যৌনতার আসর- সব ধরণের ব্যাভিচার নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

আর এসব কথা যিনি জানিয়েছেন তিনি ওই রাজ পরিবারেরই সাবেক সদস্য। সৌদি যুবরাজ আল ওয়ালিদ বিন তালালের স্ত্রী আমিরা বিনতে আইডেন বিন নায়েফ।  

news24bd.tv

সম্প্রতি দুর্নীতি বিরোধী অভিযান বেশ জোরেসোরে শুরু হয়েছে দেশটিতে। এতে আটক হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজ পরিবারের একাধিক সদস্য।

আটক হয়েছেন রাজকুমারীও। এরপরই ফাঁস হতে শুরু হয়েছে রাজপ্রাসাদের অন্দরের নানা গোপন খবর। আর এর মাধ্যমে সৌদি আরবের রাজ পরিবারে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব অনেকটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

ব্যবসায়ী বিলিনিয়র আলওয়ালিদ বিন তালালসহ ১১ যুবরাজ, চার মন্ত্রী এবং সাবেক আরও ১০ মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হেছে সৌদিতে। এ ঘটনার পরপর ইয়েমেন সীমান্তের কাছে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন এক যুবরাজ।

ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে বোমা ফাটিয়ে দিলেন দুর্নীতির দায়ে সম্প্রতি আটক হওয়া সৌদি যুবরাজ আল ওয়ালিদ বিন তালালের স্ত্রী আমিরা বিনতে আইডেন বিন নায়েফ। তিনিই জানালেন, সৌদির রাজ পরিবারকে বাইরে থেকে যতটা ভদ্র ও ধর্মভীরু বলে মনে হয়, বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো। এক কথায় বলতে গেলে এহেন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেন না।

আমিরা জানান, জেদ্দা শহরকে এরা দাস বাজারে পরিণত করেছেন। সেখানে অল্প বয়সী নারী বিক্রি থেকে শুরু করে মদের আসর, সেক্স পার্টির মতো সব রকম ব্যভিচারই হয়ে থাকে। পুলিশ এসবের ব্যাপারে অবহিত থাকলেও চাকরি হারানোর ভয়ে চুপ থাকে। কেননা, শহরের সব অপরাধের পেছনে সৌদি রাজ পরিবারের সদস্যরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

সম্প্রতি হেলোউইন পার্টির উদাহরণ তুলে আমিরা বলেন, সেই পার্টিতে সর্বসাকুল্যে দেড়শ’ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। যাদের ভেতরে কূটনৈতিক কর্মকর্তারাও ছিলেন। সেখানে সেদিন যা হয়েছে তা বাইরের দেশের কোনো নাইট ক্লাবের থেকে আলাদা ছিল না। সৌদি আরবে মদ নিষিদ্ধ হলেও সেই পার্টিতে মদের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। সেই ডিজে পার্টিতে ওয়াইন, জুটিদের নাচ, নানান ধরনের অশ্লীল ও ছোট পোশাক পরে নাচগান - সবই হয়েছিল।

সৌদি আরবে দাসপ্রথা এখনও রয়েছে জানিয়ে আমিরা বলেন, রাজপরিবারের কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি সেখানে দাস বিক্রি করে থাকেন। আর এসব দাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আনা হয় শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া থেকে। যেসব শিশুকে এখানে বিক্রি করা হয় তারা কখনই মালিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোথাও যেতে পারে না। তাদের কথামতো সবকিছুই করতে হয়। এসব দাসীরা নিজেদের বন্দি বলে মনে করেন। তাদের উপর নিয়মিত যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। অনেকটা যৌন দাসী হয়েই কাটাতে হয় তাদের। চাইলেও এ থেকে মুক্তি মেলে না।

তালালের সাবেক স্ত্রী আমিরা রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন যুবরাজের অনৈতিক ও ব্যাভিচারি কর্মকাণ্ডের কারণে।

সম্পর্কিত খবর