চীন পরমাণু বা বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা এবং শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুতগামী হাইপারসনিক মারণাস্ত্রের হামলা ঠেকাতে তৈরি করেছে ‘ইস্পাতের ভূগর্ভস্থ মহাপ্রাচীর। ’
হাইপারসনিক মারণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুটে যাওয়ার মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে এবং যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারে।
চীনের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিষয়ক সর্বোচ্চ পদক অর্জনকারী বিজ্ঞানী কিয়ান কিহু এই প্রাচীর নির্মাণের কথা জানিয়েছেন।
৮২ বছর বয়সী বিজ্ঞানী চীনের ইংরেজি দৈনিক গ্লোবাল টাইমসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
তিনি একে চীনের শেষ প্রতিরক্ষা ব্যূহ বলে উল্লেখ করেন।কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে হাইপারসনিক মারণাস্ত্রের মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।
কিন্তু কিয়ানের প্রতিরক্ষা ব্যূহ এ জাতীয় হামলার পরও টিকে থাকতে এবং কাজ চালাতে পারবে।
চীন ধারাবাহিকভাবে ‘ইস্পাতের ভূগর্ভস্থ মহাপ্রাচীর’ তৈরি করেছে।
আপদকালীন সময়ে ‘ইস্পাতের ভূগর্ভস্থ মহাপ্রাচীর’ চীনের কৌশলগত অস্ত্র, অস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা, গুরুত্বপূর্ণ গুদামসহ কমান্ডারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
চীনের সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং টিভি ভাষ্যকার সোং জোংপিং এ জানান।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)