‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল আসামি’

গণধর্ষণ

‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল আসামি’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক গণধর্ষণের এক দিন পর মারা যাওয়ার ঘটনার মূল আসামি রিপনের (৩৯) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রিপন ওই কারখানার লাইন চিফ ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের খাগান এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নিহতের গলায় একটি কাগজে ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’ লেখা একটি কাগজ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত রিপন ঝিনাইদাহের কালিগঞ্জ এলাকার লতিফের ছেলে। তিনি আশুলিয়া এলাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের খাগান এলাকা একটি খালি মাঠে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে বিষয়টি সাভার মডেল থানায় অবহিত করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় তার গলায় ঝুলিয়ে রাখা একটি কাগজে ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল আসামি’ লেখা একটি কাগজ পাওয়া যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল।

তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তার গলায় ঝুলিয়ে রাখা পরিচয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা তাকে হত্যার পর এখানে ফেলে রেখে গেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেনি।

গত ৭ জানুয়ারি (সোমবার) আশুলিয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের একদিন পর নির্যাতনের শিকার কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এর আগে গত (৫ জানুয়ারি) শনিবার সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কিশোরী। এসময় স্থানীয় রহিম, শিপন ও কারখানার লাইন চিফ রিপনসহ পাঁচ বখাটে তার গতিরোধ করে। পরে তাকে কারখানার পেছনে একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় ওই নারী শ্রমিকের বাবার রিপনকে মূল আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর