হিন্দু নারীর সঙ্গে মুসলিম পুরুষের বিয়ে বৈধ নয়, কিন্তু দুই ধর্মের নারী-পুরুষের মিলনে জন্ম নেওয়া সন্তানটি বৈধতা পাবে। সেই সঙ্গে ওই সন্তান তার বাবার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হবে।
বাবার সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের এক মামলায় মঙ্গলবার এমনই রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
সাম্প্রতি দেশটির সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, একজন হিন্দু নারীকে মুসলিম পুরুষের বিয়ে করা ‘নিয়মিত বা বৈধ’ ঘটনা নয়।
আদালত বলেছে, এমন ক্ষেত্রে জন্মগ্রহণকারী সন্তানটি বৈধ বিবাহের ক্ষেত্রে জন্ম নেওয়া সন্তানের মতোই একইভাবে ন্যায্য। তিনি (বাচ্চা) তার পিতার সম্পত্তি পাওয়ার উপযুক্ত।
আলোচিত এই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলও প্রত্যাখ্যান করে সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে যে, এই ধরনের অনিয়মিত বিবাহের আইনি প্রভাব এটা যে স্ত্রী সম্পত্তির মালিকানা দাবি করতে পারবেন না।
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এনভি রামানা ও বিচারপতি এম এম শান্তন গৌরার বেঞ্চ কেরালা হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।
এর আগে রায়ে হাইকোর্ট বলেছিল, ওই দম্পতির (মোহাম্মদ ইলিয়াস এবং বাল্লিম্মা) শামসুদ্দিন বৈধ সন্তান এবং পিতার সম্পত্তির বৈধ হকদার।
সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ আরো বলেছে- যেহেতু হিন্দুরা মূর্তি পূজারী, তাই এটি পরিষ্কার যে কোনো মুসলিম পুরুষের সঙ্গে হিন্দু নারীর বিয়ে বিধিসম্মত নয়।
উল্লেখ্য, মুসলিম বাবা ইলিয়াস ও হিন্দু মা বাল্লিম্মার ছেলে শামসুদ্দিন বাবার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হিসেবে সম্পত্তি দাবি করে মামলাটি করেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
