নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। আর ওই বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক এক কাজীকে জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার রাতে উপজেলার নন্দীকুজা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাজাপ্রাপ্ত কাজীর নাম আমানুর রহমান।
তিনি উপজেলার দয়ারামপুরের কাজীপাড়া আহম্মাদিয়া আলিম মাদরাসার শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক।ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়ার চকনাজিরপুর গ্রামের মোমিন উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমাতুজ্জোহরা ওরফে মনিকার (১৬) বিয়ে পাশের রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার এক ছেলের সাথে ঠিক করেন পরিবারের লোকজন। মনিকা কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
বুধবার রাত সাড়ে দশটায় বাগাতিপাড়ার নন্দীকুজা গ্রামে মোমিন উদ্দিনের ভাড়া বাসায় ওই বিয়ের আয়োজন চলছিল।
এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও নাসরিন বানু ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।
ইউএনও নাসরিন বানু বলেন, নিবন্ধিত কাজী আমানুর রহমানকে এর আগেও মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তিনি আবারও বাল্য বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাকে বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর ১১ ধারায় কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
NEWS24▐ Kamrul