শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় বাবা রহিম বেপারীকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে মাদকাসক্ত ছেলে নাইম বেপারী (২৩)। রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের আনাখন্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক ছেলে নাইমকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার আনাখন্ড গ্রামের রহিম বেপারীর ছেলে নাইম বেপারী দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিল।
বাবা তাকে বাধা দিয়েও মাদক থেকে দূরে রাখতে পারেনি। এ কারণে রহিম বেপারী ভ্যানে করে মাছের পোনা বিক্রি করে সংসার চালাতেন। রহিম বেপারীর তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে নাইম মেঝ। প্রায় পাঁচ বছর যাবত নাইম মাদকাসক্ত।কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলে নাইম বেপারী ধারালো দা দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে বাবা রহিম বেপারীর মাথা আলাদা করে দেয়। ঘটনাস্থলেই রহিমের মৃত্যু হয়। এ সময় মা পেয়ারা বেগম (৪৫) এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পেয়ারা বেগমকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পালং মডেল থানা-পুলিশ ঘাতক নাইমকে আটক করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও একই গ্রামের লিটন দেওয়ান বলেন, ছেলেটি এক সময় মাদক সেবন করত। সম্প্রতি ছেলেটি মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন সময় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখত। রোববার বিকেলে হঠাৎ করে বাবা-মা দুজনকে কুপিয়ে আহত করে। বাবা আব্দুর রহিম বেপারী ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, নিহত রহিম বেপারীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া ঘাতক নাইমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রতন/তৌহিদ)