এক রাতে ১৭ বাড়িতে চুরি

১৭ বাড়িতে চুরি

এক রাতে ১৭ বাড়িতে চুরি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় বেড়েছে চোরের উপদ্রব। গত কয়েকদিন ধরে মাঝে মাঝে চুরি হলেও এক রাতে একটি গ্রামের ১৭ বাড়ির সিঁধ কেটে চুরি হওয়াতে আতঙ্কিত গ্রামবাসী।

বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের মসুর দৌলজোর গ্রামে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

এ রাতে গ্রামের নরেন্দ্র নাথ, এন্তাজ আলী, নরেন চন্দ্র, লক্ষ্ণী চন্দ্র, জিতীন্দ্র নাথ, নারায়ন চন্দ্র, আব্দুর রশিদ, আব্দুল মান্নান, কমলেশ্বর, স্বপন মিয়া, নরেশ চন্দ্র, হরেন্দ্র নাথ, পরেশ চন্দ্র, নরেন চন্দ্রসহ ১৭জনের বাড়িতে চুরি হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মসুর দৌলজোর গ্রামের লোকজন রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সংঘবদ্ধ চোর চক্র ওই গ্রামের ১৭টি বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, দামি পোশাক ও কাগজপত্র নিয়ে যায়।

গ্রামের ব্যবসায়ী নরেন্দ্র নাথ বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার ঘরের সিঁধ কাটা। তার ঘরে থাকা ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।

তার আত্মচিৎকারে গ্রামের লোকজন একে একে জেগে জানতে পারেন সবার ঘরে সিঁধ কেটে নগদ টাকা পয়সা, দামি পোশাক ও মূল্যবান কাগজপত্র চুরি করেছে চোর চক্রটি।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন ওই গ্রামের প্রবাসী এন্তাজ আলী। তার বাড়ি থেকে প্রায় ৫৬ হাজার নগদ টাকা চুরি হয়েছে। সব মিলে চোর চক্রটি ওই রাতে গ্রাম থেকে প্রায় তিন লাখের বেশি নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গ্রামবাসীর দাবি। এক রাতে এমন চুরির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে গ্রামে।

এদিকে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি এবং ব্যবসায়ী।

গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মিয়া জানান, কোনো বাড়ির বেড়া ভাঙেনি। প্রতিটি বাড়ির সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা, দামি পোশাক ও কাগজপত্র নিয়েছে। গত বছরেও এই গ্রামে এক রাতে ১৩টি বাড়িতে চুরি হয়েছিল। এখন পযর্ন্ত যার কোনো সুরাহা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

চুরির বিষয়ে ইউপি সদস্য ছামিদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এমন দুর্ধষ চুরি তিনি কখনই দেখেননি। গ্রামের ১৭টি বাড়িতে একই সঙ্গে সিঁধ কেটেছে। সবার কাছ থেকে টাকা না পেলেও অনেকের নগদ টাকা চুরি হয়েছে।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, চুরির বিষয়টি শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউই অভিযোগ করেননি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মানিক/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর