মনোনয়ন নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ

মনোনয়ন নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন নিয়ে বিরোধের জেরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আহতদের লালমনিরহাট ও আদিতমারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

পুলিশ জানায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল আলম।

এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ সামছুল ইসলাম সুরুজের ছেলে ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলীর ভাতিজা ফারুক ইমরুল কায়েস। যিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও ধানের শীষের প্রার্থীর কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারেন। এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল হকও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। রফিকুল আলমকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় অন্য দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে রোববার ঢাকা থেকে রংপুর হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রফিকুল আলম। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে তার অনুসারীরা সকালে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে গংগাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এলে মনোনয়ন বঞ্চিতদের অনুসারীরা তাদের পথ রোধ করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এসময় ভাঙচুর করা হয় ১০/১২টি মোটরসাইকেল। আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর, আদিতমারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, একটি মহল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফিকুল আলমকে মনোনয়ন দিয়েছে। মনোনয়নের ব্যাপারে তৃণমূলের কোনো মতামত আমলে নেওয়া হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় আতঙ্কে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেন দোকানিরা। গুলির শব্দও শোনা যায় বেশ কিছু। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মানিক/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর