তৃতীয় স্বামীকে বাদ দিয়ে চতুর্থ বিয়ে, অতঃপর খুন

ছেলের হাতে খুন

তৃতীয় স্বামীকে বাদ দিয়ে চতুর্থ বিয়ে, অতঃপর খুন

বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার নন্দীগ্রামে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীকে আনতে গিয়ে সৎ ছেলের লাঠির আঘাতে আরব আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। নিহত আরব আলী নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, রোববার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। শনিবার বিকেলে বিজরুল গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে সৎ ছেলে ময়নুলের লঠির আঘাতে তিনি আহত হন।

এলাকাবাসী জানায়, আরব আলী দেড় বছর আগে একই গ্রামের মর্জিনা বেগম নামে স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে বিয়ে করেন। এই বিয়ের আগে মর্জিনার আরও দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। আরব আলীর সঙ্গে সংসার করাকালে ১৫ দিন আগে মর্জিনা তার স্বামীকে না জানিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা শেরপুরে চলে যায়। গত শনিবার শেরপুর থেকে মর্জিনা তার মায়ের বাড়ি বিজরুল গ্রামে বেড়াতে আসে।

খবর পেয়ে আরব আলী স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়ি যায়।

তখন মর্জিনা জানায়, সে আরব আলীকে তালাক দিয়ে শেরপুর চতুর্থ বিয়ে করেছে। আরব আলী সেসময় স্বামী তালাকের কাগজপত্র দেখতে চাইলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় মর্জিনার আরেক পক্ষের ছেলে ময়নুল ইসলাম মধু(১৫) তার মায়ের পক্ষ নিয়ে সৎ বাবা আরব আলীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন আরব আলীকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ১০ টার দিকে তিনি মারা যান।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশের কাহালু-নন্দীগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই মর্জিনা, তার মা জরিনা বেগম ও ছেলে ময়নুল পলাতক রয়েছে। আরব আলীর মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রউফ/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর