গাপতিলের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বড় জয়

ছবি সংগৃহীত

গাপতিলের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বড় জয়

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ম্যাকলিন পার্কে ২৩৩ রান নিউজিল্যান্ডের কাছে অবশ্যই ছোট লক্ষ্য। ব্যাট হাতে দুই ওপেনার হেনরি নিকোলাস ও  মার্টিন গাপতিল আগেই জয়ের ভীত গড়ে দিয়েছিলেন।

যদিও সফরকারীদের সান্ত্বনা পুরস্কার দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৮০ বলে ৫৩ রান করা হেনরি নিকোলাসকে ফিরিয়ে দেন এই অফস্পিনার।

অন্যদিকে মার্টিন গাপতিল তখনও ক্রিজেই ছিলে সঙ্গে যোগ দেন কেন উইলিয়ামসন। যদিও থিতু হতে পারেননি কিউই অধিনায়ক। ২২ বলে মাত্র ১১ রান করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের এলবিডব্লিউ ফাঁদে পড়েন উইলিয়ামসন।

তৃতীয় উইকেটে এবার রস টেইলরকে নিয়ে জুটি গড়েন ওপেনার গাপতিল।

তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি।

শেষ পর্যন্ত ৪৪.৩ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান সংগ্রহ করে ফেলে ব্ল্যাকক্যাপসরা। এতে ৮ উইকেট হাতে নিয়েই তিন ম্যাচ সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। ১১৬ বলে ১১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন গাপতিল। তার সঙ্গে যোগ ক্রিজে ছিলেন ৪৯ বলে ৪৫ রান করা রস টেইলর।

এর আগে টস জেতার পর ব্যাট করবেন বলে জানান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান তামিম ইকবাল। ৬ বলে ৫ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে উইকেটের পেছনে থাকা টম ল্যাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড হয়ে ৮ বলে ১ রান করে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন লিটন দাস।

১৪ বলে ৫ রান করে বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হন মুশফিকুর রহিম। অষ্টম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
নতুন ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন সৌম্য সরকার। ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ২২ বলে ৩০ রান করা সৌম্যর হেনরির বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন।

মাত্র ৪২ রানে ৪টি উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরা দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুইজন মিলে ২৯ রানের জুটি গড়েন।

১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রিয়াদ আউট হন। লকি ফার্গুসনের বলে স্লিপে থাকা রস টেইলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যাবার আগে ২৯ বলে ১৩ রান করেন তিনি।

রিয়াদের পর সাব্বির রহমানের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়েন মিঠুন। ২০ বলে ১৩ রান করা সাব্বির স্ট্যাম্পিং হন মিশেল স্যান্টনারের বলে।
মেহেদী হাসান মিরাজ ক্রিজে এসে দ্রুত রান তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ২৭ বলে ২৬ রানের ইনিংসটি খেলতে ৩টি চার ও একটি ছক্কাও হাঁকান মিরাজ। নিশামের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরেন স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে।

৩০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১৩১ রান। ক্রিজে  মিঠুনের সঙ্গে যোগ দেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
 
ডান-হাতি ও বাম-হাতি দুই ব্যাটসম্যান মিলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন। ৫৮ বলে ৪১ রানের লড়াকু ইনিংসটি খেলতে তিনটি চার হাঁকান সাইফুদ্দিন। ৪৫তম ওভারের পঞ্চম বলে স্যান্টনারের শিকার হন তিনি। মার্টিন গাপতিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন সাইফুদ্দিন।
অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে ১৪ রানের জুটি গড়েন মিঠুন। তবে ৪৮ ওভারের প্রথম বলে আউট হতে হয় ৯০ বলে ৬২ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে। ফার্গুসনের বলে বোল্ড হবার আগে চারটি চার মারেন তিনি।

শেষ দিকে ৬ বল খেলে ০ রানে বোল্টের বলে বোল্ড হন মুস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে ১৪ বলে ৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মাশরাফি। সব মিলিয়ে ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রান করে বাংলাদেশ দল।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর