বিশ্ব ইজতেমা ১২ জানুয়ারি, জোড় ইজতেমা শুক্রবার

গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

বিশ্ব ইজতেমা ১২ জানুয়ারি, জোড় ইজতেমা শুক্রবার

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

টঙ্গীতে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০১৮ সালের ১২-১৪ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৯-২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রস্তুতি সভায় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহম্মদ হুমায়ুন কবীর সভাপতিত্ব করেন।

এতে অন্যান্যের মধ্যে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফারজানা মান্নান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম, গাজীপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম, গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিন রেজা, গাজীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মোমিনুল ইসলাম, বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বী প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন, প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, আসন্ন বিশ্বইজতেমার পবিত্রতা সমুন্নত রেখে সুষ্ঠু, সুন্দর ও সু-শৃঙ্খলভাবে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের যথাসময়ে তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

সভায় বিশ্ব ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য ময়দানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ নানা বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমায় মুসুল্লীদের সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি অজু গোসল, থাকা খাওয়া এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও বিদেশী মেহমানদের আশা যাওয়া ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করা হয় সভায়।

পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি পরিদর্শক মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমা এলাকা পাঁচটি সেক্টরে ছয় স্তরে নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব মো. আসলাম হোসেন বলেন, বিশ্ব ইজতেমা এলাকায় জেলা প্রশাসন, র‌্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন দফতরের প্রয়োজনীয় কন্ট্রোল স্থাপন, র‌্যাব ও পুলিশের জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

শুক্রবার জোড় ইজতেমা 

বিশ্ব ইজতেমার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমার শুরুর কমপক্ষে ৪০দিন আগে টঙ্গীতে জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ইজতেমার চিল্লাবদ্ধ দেশ-বিদেশের মুসুল্লীরা টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জোড় ইজতেমায় অংশ নেন। এবার শুক্রবার বাদ ফজর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা শুরু হবে। মঙ্গলবার বাদ জোহর মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জোড় ইজতেমা শেষ হবে। এ জোড় ইজতেমায় দেশ-বিদেশের দুই লাখ মুসুল্লীদের জন্য আয়োজন রয়েছে। জোড় ইজতেমায় ঈমান-আমলসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও তালিম দেয়া হয়। পরে তারা ইজতেমার দাওয়াতি কাজে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন এবং বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগে আবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে যোগ দেন।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় ক্রমবর্ধমান মুসুল্লীর জন্য ইজতেমা ময়দানের পরিসর আরো বাড়ানো দরকার। এরজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা চেয়েছেন।  

সম্পর্কিত খবর