বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত

ছবি সংগৃহীত

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় জুবায়েরপন্থীদের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে।  বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফেজ মো. জোবায়েরের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর আগে হেদায়েতি বয়ানের মধ্য দিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় আজকের কার্যক্রম শুরু হয়।

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে গতকাল শুক্রবার থেকেই মুসল্লিদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে।

ময়দান ছাড়িয়ে আশপাশে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো। সড়ক-মহাসড়কে পলিথিন শিট টানিয়ে অবস্থান নেয় হাজারো মুসল্লি।

আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার মধ্যরাত থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মীরের বাজার থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় মোনাজাতে শরিক হতে ভোর থেকে ধর্মপ্রাণ মুসিল্লরা হেঁটেই ইজতেমাস্থলে আসেন।

 
মোনাজাত প্রচারের জন্য গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস নেয় বিশেষ ব্যবস্থা।

ইজতেমা ময়দানের বাহিরে অবস্থানকারী মুসল্লি ও পথচারীদের মোনাজাতে শরিক হতে ইজতেমা ময়দানের বাইরে আশপাশের এলাকায় শতাধিক মাইকের সংযোগ দেয়া হয়। মোনাজাত অংশ গ্রহণের সুবিধার্থে ৩২টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।  

এদিকে গত দুই দিনে বিশ্ব ইজতেমা ও আশপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি খেত্তায় রয়েছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা তৎপরতা। দু-চার গজ পরপরই রয়েছে পুলিশের অবস্থান। ইজতেমার চারপাশে উঁচু ওয়াচ টাওয়ারে র‌্যাবের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ রয়েছে। রয়েছে কিছুক্ষণ পর পর আকাশে হেলিকপ্টারে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল।

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি একই ময়দানে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।  


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর