যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্কুলে বন্দুক চালিয়ে পাঁচজনকে খুন করার এক দিন পর সেই বন্দুকধারীর স্ত্রীকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্কুলে হামলা চালানোর আগের রাতেই তাকে খুন করা হয়।
বন্দুকধারীর ঘরের মেঝের নিচ থেকে তার স্ত্রীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, কেভিন জনসন নীল সোমবার রাতে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরের দিন সকালে এলাকায় হামলা চালায়।
১৪ নভেম্বর রাঞ্চো তেহমা রিজার্ভের এলিমেন্টারি স্কুলে হামলা চালান কেভিন নীল। তার আগে তিনি শহরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালান। এতে মারা যায় ৪ জন, আহত হয় অন্তত ১০ জন।
এ ঘটনায় কোনো শিশু নিহত হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের তড়িৎ সিদ্ধান্তের ফলে হতাহতের সংখ্যা অনেক কম। যদিও এ হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক অশান্তি ও প্রতিবেশীদের সাথে ঝামেলার জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে।
হামলাকারীর বোন শেরিডান ওর বলেন, ‘‘কেভিনের মানসিক সমস্যা ছিল এবং প্রায়ই সে উগ্র আচরণ করতো। '' তিনি জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে কেভিন তার উদ্ভট ব্যবহারের জন্য চাকরিচ্যুত হন। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে এক প্রতিবেশীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই ঘটনার পর বন্দুক রাখার দায়ে তাকে জেলও খাটতে হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার এ হামলার মাত্র দু'সপ্তাহ আগেটেক্সাসের এক গির্জায় বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন মারা যায়। গত মাসে লাস ভেগাসে আরেক বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয় ৫৮ জন। -ডয়চে ভেলে
