কলেজছাত্রীকে সাত মাস আটকে রেখে ধর্ষণের কথা স্বীকার বাদলের

কলেজছাত্রীকে সাত মাস আটকে রেখে ধর্ষণের কথা স্বীকার বাদলের

নিউজ ২৪ ডেস্ক

টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক কলেজছাত্রীকে সাত মাস নির্জন বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বাদল মিয়া। গতকাল শনিবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাসুদ তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।  
 
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল  গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আসাদুজ্জামান টিটু জানান, বাদল মিয়াকে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। ৫টায় তার জবানবন্দি শেষ হয়।

সে তার দোষ স্বীকার করে আদালতকে জানিয়েছে, সখীপুরের রতনপুর গ্রামের নির্জন জায়গায় তার পরিত্যক্ত একটি ঘরে কলেজছাত্রীটিকে ছয় মাস ১৭ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। একই সঙ্গে সে মেয়েটির বাড়ির লোকজনদের নানাভাবে ভুল বুঝিয়েছে। তবে তিন মাস আগে বাদল মিয়া এলাকা থেকে অন্যত্র চলে যায়। এ সময় সে অন্য এক লোকের মাধ্যমে মেয়েটির কাছে শুকনো খাবার পৌঁছে  দিত।
জবানবন্দি শেষে বাদল মিয়াকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।

উল্লেখ্য, গত রবিবার প্রতিবেশীরা বাদল মিয়ার ঘরের তালা ভেঙে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এরপর কলেজছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে বাদল মিয়াকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মির্জাপুর বাজার এলাকা থেকে শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই দিনই সন্ধ্যার দিকে মামলাটি সখীপুর থানা থেকে টাঙ্গাইল ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

সম্পর্কিত খবর