বাংলাদেশে বাস করলেও এরা পাকিস্তানেরই প্রেতাত্মা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। -ফাইল ছবি

বাংলাদেশে বাস করলেও এরা পাকিস্তানেরই প্রেতাত্মা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

''১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কি করতে হবে সে বিষয়ে সকল কথা ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন। ২৩ বছরের সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ রাষ্ট্র আমরা পেয়েছি। জাতি হিসেবে আমরা পেয়েছি মর্যাদা। কিন্তু, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু, ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, কেউ মুছতে পারেনি। '' 

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ইউনেস্কো স্বীকৃতি উপলক্ষে আজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারে যত বাধা এসেছে তত তা জাগ্রত হয়েছে। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।

ইতিহাস বিকৃত করতে চাইলে ইতিহাস প্রতিশোধ নেয়। যারা জাতির পিতার নাম মুছতে চেষ্টা করেছে, জানি না তাদের লজ্জা হয় কি না। ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর তাদের কি এখন লজ্জা হয় না, দ্বিধা হয় না। অবশ্য এরা বাংলাদেশে বাস করলেও এরা পাকিস্তানেরই প্রেতাত্মা।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাঁর বক্তব্যে ইউনেস্কো ও যে দেশগুলো ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, বিশ্বে স্বীকৃতি পাওয়া ভাষণগুলো ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত ছিল না। এই ভাষণের জন্য কোনো ‘নোটস’ ও বঙ্গবন্ধুর হাতে ছিল না। ৭ মার্চে ভাষণ দেওয়ার আগে সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে আলাদা ডেকে নিয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন।

‘মা, বাবাকে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন অনেকে অনেক কিছু বলছে। কিন্তু তুমি তাই বলবে যা তুমি ভালো মনে করো। ’ প্রধানমন্ত্রী বাবাকে দেওয়া মায়ের এই পরামর্শকে শ্রেষ্ঠ পরামর্শ বলে উল্লেখ করেন।

এর আগে বেলা ২টা ৩৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন। এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু করা হয়। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  
 
ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশের সঞ্চালনায় রয়েছেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও ড. নুজহাত চৌধুরী।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ও প্রধান বিয়েট্রিস খলদুন।

সম্প্রতি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ‘ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টরি হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এ উপলক্ষে নাগরিক কমিটির উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি-বিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর