পুরুষ সহকর্মীদের সামনেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়!

প্রতীকী ছবি

পুরুষ সহকর্মীদের সামনেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

উত্তর কোরিয়ার নারী সেনাদের কাছে ধর্ষণ নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। সম্প্রতি এমনই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন, লি সো ইয়ন নামে উত্তর কোরিয়ার এক সাবেক সেনা সদস্য।

তিনি জানিয়েছেন, প্রায় দশ বছর ধরে লি সো ইয়নকে শুতে হয়েছিল একটা ব্যাংক বেডের নিচের তলায়। ঘরটা তাকে শেয়ার করতে হত আরও পঁচিশ জন নারীর সঙ্গে।

ড্রয়ারের ওপরে রাখতে হত ফ্রেমে বাঁধানো দুটো করে ফটোগ্রাফ। একটি কিম জং উনের পূর্বসুরী কিম ইল-সুংয়ের ও অপরটি তার উত্তরসূরি প্রয়াত কিম জং-ইলের।

নারী সেনাদের ঠিকভাবে স্নান করার পর্যন্ত সুযোগ ছিল না। ঘামের গন্ধে অস্থির হয়ে যেতে হত।

কাপড়-চোপড় কাচা, পরিষ্কার করা বা রান্না-বান্নার মতো বেশ কিছু গৃহস্থালির কাজও করতে হত তাদের। পরিশ্রমের পরও পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তেন তারা। লি সো ইয়ন আরও জানান, মাসিক ঋতুস্রাবের দিনগুলো নারী সেনারা কীভাবে পার করবে, তার কোন ব্যবস্থাই বাহিনীতে ছিল না।
এমনও হয়েছে, লি সো ইয়ন ও তার নারী সহকর্মীদের বাধ্য হয়ে অনেক সময় একজনের ব্যবহার করা স্যানিটারি প্যাড আবার অন্য একজনকে ব্যবহার করতে হয়েছে। লি সো ইয়ন যদিও স্বেচ্ছাতেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন, ২০১৫ সালে উত্তর কোরিয়া নিয়ম করেছে যে ১৮ বছর বয়সের পর সে দেশে সব মেয়েকেই বাধ্যতামূলকভাবে সাত বছর সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে হবে।

কলকাতা টুয়েন্টিফোর'র প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, অনেক সময় পুরুষ সহকর্মীদের সামনেই তাদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়। এর ফলে তাদের ওপর যৌন হামলার ঝুঁকিও বাড়ে, কিন্তু তাদের কিছু করার থাকে না। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে যৌন নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটে ব্যাপক হারে। অনেকেই ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকেন।

সম্পর্কিত খবর