সু চির সঙ্গে পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে সু চির সঙ্গে পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

সু চির সঙ্গে পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৈঠক করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে সু চির কার্যালয়ে ৪৫ মিনিটব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর ঢাকা ও নেপিদোর মধ্যে ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট অন রিটার্ন অব ডিসপ্লেসড পারসন্স ফ্রম রাখাইন স্টেট’ বা ‘রাখাইন রাজ্যের উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে নেওয়ার আয়োজন’ শীর্ষক চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে উভয় দেশের কর্মকর্তারা আশা করছেন।

উল্লেখ্য, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের আগে কর্মকর্তারা বসে চুক্তির শর্ত অনেকটা চূড়ান্ত করেন।

এদিকে চুক্তির শর্ত সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চুক্তি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে উভয়পক্ষ কিছুটা ছাড় দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রস্তাব ছিল- জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ সব উন্নয়ন সহযোগীর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মিয়ানমার শেষ পর্যন্ত শুধু ইউএনএইচসিআরকে প্রয়োজনমতো কাজে লাগাবে বলে সম্মত হয়েছে। '

চুক্তি সই হওয়ার ২ মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হবে।

কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন শেষ হবে তার একটি সময়সীমা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চাওয়া হলেও মিয়ানমার তাতে রাজি হয়নি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, মিয়ানমার প্রথমে দু’দেশের মধ্যে ১৯৯২ সালের চুক্তির আলোকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা বলেছিল। বাংলাদেশ বলেছে, সেই সময় এবং এখনকার চ্যালেঞ্জ এক নয়। ওই সময় রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পোড়ানো হয়নি।

বাংলাদেশ একটি নতুন চুক্তির খসড়া মিয়ানমারের কাছে আগেই দিয়েছে। অক্টোবরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের দপ্তরের মন্ত্রী খিও তিন্ত সোয়ে বাংলাদেশ সফরে এলে তার হাতে বাংলাদেশ এ খসড়া চুক্তি তুলে দেয়। ওই চুক্তিতে নতুন হিসেবে ছিল রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অন্তর্ভুক্তি।

এ ছাড়া মিয়ানমারের তরফে প্রস্তাব ছিল যে, গত বছরের অক্টোবরের পর যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, তাদেরই শুধু মিয়ানমার ফেরত নেবে। তবে বাংলাদেশ বলেছে,- সব রোহিঙ্গাকেই ফেরত নিতে হবে।

সম্পর্কিত খবর