ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলার পর মুসলিম সম্প্রদায়কে সহমর্মিতা জানাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছিল দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন। এতে গোটা মুসলিম বিশ্বের প্রশংসাও পান তিনি।
ওই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্নের হিজাব পরা অনেক ছবি ভাইরাল হয়েছে। মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানাতে গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডবাসী হিজাব পরার ঘোষণা দিয়েছিল।
এছাড়াও দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন (টিভি এনজেড) ও রেডিওতে (রেডিও এনজেড) জুমার নামাজের আজান সম্প্রচার করা হয়, জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রথম পাতায় আরবি হরফে ছাপা হয় ‘সালাম, শান্তি’, জাতীয়ভাবে পালন করা হয় এক মিনিটের জায়গায় দুই মিনিটের নীরবতা।এরপর এখন হিজাব পরেই টেলিভিশন সেটে আসছেন উপস্থাপিকারা। হিজাব পরেই সংবাদ সংগ্রহ করতে দেখা গেছে অনেক নারী সাংবাদিককে। রিপোর্টাররাও টিভিতে লাইভে আসছেন হিজাব পরেই।
#HeadScarfForHarmony নামে হ্যাশট্যাগ দিয়ে অমুসলিম নারীরা হিজাব পরিহিত ছবি পোস্ট করছেন বিভিন্ন মাধ্যমে।
ক্রাইস্টচার্চ কবরস্থানে পাহারা দিচ্ছিলেন এক নারী পুলিশ। তার হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র আর মাথায় ছিল কালো কাপড়। সঙ্গে ছিল একটি লাল গোলাপ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জুমার নামাজের সময় মসজিদে হামলা চালায় মুসলিম বিদ্বেষী অস্ট্রেলিয়ান এক নাগরিক। প্রথমে আল নূর মসজিদে হামলা চালায় সে। পরে পার্শ্ববর্তী লিনউড মসজিদ হামলা চালায়। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা ফেসবুক লাইভে প্রচার করে হামলাকারী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পাঁচজনসহ ৫০ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সেখানে অবস্থান করা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। তারা ওই মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। আর মাত্র পাঁচ মিনিট আগে তারা মসজিদে প্রবেশে করলে দুর্ঘটনার মুখ পতিত হতে হতো তাদেরও। পরে ক্রিকেটাররা দৌড়ে সেখান থেকে নিরাপদে আশ্রয় নেন।
এ ঘটনার পর থেকেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। দেখাল শান্তির পথ। শোনাল ঐক্যের বাণী। এবার নিউজিল্যান্ডসহ পুরো বিশ্ব দেখল সহমর্মিতা, সৌহার্দ্য আর ভালোবাসা।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)