সুন্দরী নার্সের সেবা পেতে সুস্থরাও ক্লিনিকে!

সুন্দরী নার্সের সেবা পেতে সুস্থরাও ক্লিনিকে!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নাম কারিনা লিন। বয়স ২৪ বছর। তাইওয়ানের বাসিন্দা। পেশায় ডেন্টাল নার্স।

গোলাপি ইউনিফর্ম পরা তার ছবি এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল। শুধু তাই নয়, তিনি যে ডেন্টাল ক্লিনিকে কাজ করেন তার দরজায় রোগীদের লম্বা লাইন। সুস্থরাও রোগী সেজে চলে আসছেন সেই ক্লিনিকে! কিন্তু কেন?news24bd.tv

কারণ, তিনি নাকি বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময়ী নার্স। তাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে।

এরপর থেকেই তিনি যে ক্লিনিকে কাজ করেন সেটির কদর বেড়ে গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে রোগী ছুটে আসছেন নার্সকে একনজর দেখতে। কেউ আবার অপ্রয়োজনেই চেক-আপ করাতে আসছেন।

মূলত, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি ভাইরাল হওয়ার পরই আলোচনায় উঠে এসেছেন লিন। আর যেসব ছবি কারিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন তা ভাইরাল না হয়েও উপায় নেই! নেটে সার্চ দিলে এখন এই নার্সের অসংখ্য অর্ধনগ্ন আবেদনময়ী ছবি পাওয়া যাবে। ওইসব ছবির অধিকাংশই সেলফি। কখনো বিকিনি, কখনো তার চেয়েও ছোট পোশাক করে ক্যামেরায় ধারণ করেছেন নিজেকে। আর এসব করেছেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্ত বাড়াতে। news24bd.tv

চলতি বছরের শুরুতে ইন্সটাগ্রামে এমন কিছু অর্ধনগ্ন ছবি আপলোড করে কারিনা লিখেছিলেন, ''আমি এখনো সেই নার্সই আছি।

 

এটাই আমার পেশা। আমি একটি হাসপাতালে শিফট ডিউটি করি। কোন মডেল বা ফটোগ্রাফার আমি নই। আমার লক্ষ্য একটাই- জনপ্রিয় হওয়া। যা আমাকে আনন্দ দেয় আমি সেটাই করছি। এছাড়া আমি বিশেষ কোন ব্যক্তিও নই, অতি সাধারণ জীবনযাপন করা একজন মানুষ। ''

এমন খোলামেলা ছবি ইন্টারনেটে ছাড়ায় অনেকে এর সমালোচনা করলেও তার চেয়ে বেশি পেয়েছেন আকর্ষণীয় ফিগারের প্রশংসা। ফলোয়ার বেড়েছে হু হু করে।

 

তবে ওইসব ছবি ভাইরাল হওয়া এবং সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়ে বেশ খুশি তাইওয়ানের এই নারী। এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময়ী নার্সের খেতাবটিও তার খুব পছন্দ হয়েছে। এমন একটি অদ্ভুত তকমা পেয়ে বেশ আপ্লুত কারিনা লিন। তিনি রোগীর এই ভীড়ও উপভোগ করছেন। সাধ্যমতো সেবাও দিচ্ছেন। কাউকে হতাশ করছেন না।

লিন বলেন, ''আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না যে আমি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নার্স। মানুষের ভালবাসা পেয়ে আমি ধন্য। সত্যিই আমি অভিভূত। এবং বিষয়টাকে বেশ উপভোগও করছি আমি। ''

তাইওয়ানের বাসিন্দা কারিনা লিন সেদেশের

news24bd.tv

একটি ডেন্টাল ক্লিনিকে কাজ শুরু করেন চলতি বছরের শুরুতে। এরপর থেকেই তাকে দেখতে লোকজনের হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে ক্লিনিকে। অনেকেই অসুখের অজুহাত দিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন তার চেম্বারে। শুরুতে কারিনার এমন ছবি নিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিব্রতবোধ করলেও এখন অবশ্য তারা বেশ খুশি বলে জানা গেছে।

সম্পর্কিত খবর