রাফির বিষয়ে সিঙ্গাপুরে কথা বলবে মেডিকেল বোর্ড

অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রী রাফি

রাফির বিষয়ে সিঙ্গাপুরে কথা বলবে মেডিকেল বোর্ড

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীর চিকিৎসার বিষয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলবে মেডিকেল বোর্ড।

বুধবার বেলা ১১টায় আবারও সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে কথা বলা হবে।

এমনটিই জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি ‍জানান, ছাত্রীর অবস্থা আগের মতোই আছে।

সে এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। আজকে আমরা আবার সিঙ্গাপুর তার চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলব।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল নয়টায় মাদ্রাসাছাত্রীর চিকিৎসার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে মেডিকেল বোর্ড। এরপরই লাইফসাপোর্টে রেখেই দুই ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচার করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় এ অস্ত্রোপচার চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।

হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম জানান, সফল অপারেশন হয়েছে। এখন শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন ওই ছাত্রী।

তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তাই অস্ত্রপচার করা হয় বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি জানান, ওর শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সে যাতে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে, সে জন্য এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গিয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কে বা কারা মারধর করেছে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি ওই ভবনের তৃতিয় তলায় যান। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় বর্তমানে নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এনে ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে শিশু বলাৎকারের ঘটনায় ফেনী সদরের একটি মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে নাশকতা, যৌন হয়রানি ও চেক জালিয়াতিসহ ফেনী এবং সোনাগাজী মডেল থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর