নুসরাত হত্যা: তিন বোরকার একটি খাল থেকে উদ্ধার

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি

নুসরাত হত্যা: তিন বোরকার একটি খাল থেকে উদ্ধার

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের গায়ে আগুন দেওয়ার সময় এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জুবায়ের আহমেদ যে বোরকা পরেছিলেন, তা সোনাগাজী ডাঙ্গিখাল থেকে উদ্ধার করেছে তদন্তকারী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দল।

এ হত্যার ঘটনায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা জুবায়েরকে নিয়েই এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম।

তিনি বলেন, নুসরাতের সহপাঠী জোবায়ের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোনাগাজী সরকারি কলেজের পেছনে একটি খালে অভিযান চালানো হয়।

সেখানে থেকে হত্যার সময় ব্যবহৃত তিনটি বোরকার একটি উদ্ধার করে পিবিআই।

‘এর আগে শুক্রবার দুপুরে অপর আসামি কামরুন নাহার মনির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পিবিআই জেনেছে সোনাগাজী পৌরশহরের মানিক মিয়া প্লাজার একটি দোকান থেকে মনি বোরকা কেনেন। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া পুরুষদের গায়ে যে তিনটি বোরকা ছিল তার একটি উদ্ধার করল পিবিআই। ’


গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত।

কয়েকজন তাঁকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তাঁর গায়ে আগুন দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।

এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

এর আগে ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার মামলার অন্যতম প্রধান দুই আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীমের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী হিসেবে জুবায়েরের নাম উল্লেখ করেন।

শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, নুসরাতকে পোড়ানোর আগে তাঁরই ওড়না নিয়ে ছিঁড়ে দুই ভাগ করে জুবায়ের হাত ও পা বেঁধে ফেলেছিলেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর