রেস্তোরাঁয় মিলছে মানুষের মাংস!

প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট

রেস্তোরাঁয় মিলছে মানুষের মাংস!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

জাপানের টোকিও শহরে খুলেছে এক অভিনব রেস্তোরাঁ। তারাই বিশ্বে সর্ব প্রথম খদ্দেরের পাতে তুলে দিচ্ছে মানুষের মাংস।  এ দাবি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষেরই।  

কী ভাবছেন? আইনে এটা সমর্থন করছে কী ভাবে? তাতে সমস্যা হচ্ছে না।

দেশটির আইন কিছু শর্তের ভিত্তিতে এ ব্যবসার অনুমতি দিচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকেই এই নিয়ম চালু জাপানে। বিশেষ কিছু শর্তাবলী সাপেক্ষে চাইলে খাওয়া যেতে পারে মানুষের মাংস। ফলে, টোকিওর এই রেস্তোরাঁর আইনসঙ্গতভাবে বাণিজ্যে কোনো অসুবিধা নেই।

তা, এমন অভিনব রেস্তোরাঁর নামটি কী? সেখানেও রয়েছে এক সূক্ষ্ম রসিকতা। মালিক তার এই সাধের ভোজনালয়ের নাম রেখেছেন 'রিসোতো ওতোতো নো শোকু রিওহিন'! ইংরেজিতে তর্জমা করলে 'এডিবল ব্রাদার', অর্থাৎ ভক্ষণযোগ্য ভাই! স্বাভাবিক, পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, মানুষের সম্পর্ক তো শেষ পর্যন্ত ভ্রাতৃত্বেরই! এখানে একটা প্রশ্ন উঠতেই পারে। আর তা হলো ভাই কীভাবে ভাইয়ের মাংস খাবে।

বিস্ময়ের ব্যাপার- খদ্দের জুটে যাচ্ছে ঠিকই। খবর বলছে, এডিবল ব্রাদার-এর প্রথম খদ্দের ছিলেন এক আর্জেটিনার পর্যটক। খেয়ে-দেয়ে খুব মন্দ কিছু তিনি বলেননি। 'ওরা রান্না করেছেন নানা মসলাপাতি মিশিয়ে, ফলে মুখে দিয়ে খারাপ কিছু তো মনে হল না', অকপটে জানিয়েছেন সেই পর্যটক।

টোকিওর এই রেস্তোরাঁ মানুষের মাংসের দাম ধার্য করেছে ১০০ থেকে ১০০০ ইউরো। দামটা নির্ভর করছে কতটুকু আর কোন পদ খাওয়া হচ্ছে তার উপরে। এক টুকরো থেকে শুরু করে পুরো পদ পর্যন্ত এই দামের বিস্তার।

দামটা একটু বেশিই বটে। তবে তারও কারণ আছে। কারণ অনেক চড়া মূল্যে এই মাংস সংগ্রহ করতে হয় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে।  
এখন প্রশ্ন- এই মাংস কোথা থেকে পাওয়া যাচ্ছে? 

রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একমাত্র ইচ্ছুক, মৃত্যুপথযাত্রী যুবক-যুবতীরাই তাদের মাংস জুগিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে তারা একটি দানপত্রে আইন মেনে উল্লেখ করে যান রেস্তোরাঁর হাতে দেহ তুলে দেওয়ার কথা। সূত্র: নেটিজেনস ডেইলি।  

সম্পর্কিত খবর