ভারতের আকাশে আজ রাতে দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি

ফাইল ছবি

আনন্দবাজারের খবর

ভারতের আকাশে আজ রাতে দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

পৃথিবীর দিকে ভয়ঙ্কর গতিতে ধেয়ে আসছে একটা গ্রহানু (অ্যাস্টারয়েড)।  এর নাম ‘ফায়েথন ৩২০০’।  ৪ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা।  এত বড় চেহারার গ্রহাণু এ যাবৎকালে পৃথিবীর এত কাছাকাছি কখনও দেখা যায়নি।

 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স-এর কর্মকর্তা জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী বুধবার জানিয়েছেন, “এমন চেহারার গ্রহাণুই কোটি কোটি বছর আগে ডাইনোসরদের ধ্বংস করে দিয়েছিল। ” এই গ্রহাণুটি নিয়ে ইতোমধ্যেই কলকাতাসহ বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তাঁদের চিন্তার কারণ, যে কক্ষপথ ধরে গ্রহাণুটির আসার কথা ছিল ইতোমধ্যেই তার থেকে অনেকটা সরে এসে পৃথিবীর কয়েক হাজার কিলোমিটার বেশি কাছাকাছি এসে পড়েছে।  

সন্দীপ চক্রবর্তী আরও জানান, ১৬ ডিসেম্বর এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসে পড়বে।

যেভাবে প্রত্যাশিত কক্ষপথ থেকে অনেকটা সরে এসেছে গ্রহাণুটি, তাতে আগামী তিন দিনে তা পৃথিবীর পক্ষে কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

তবে এই উদ্বেগের মধ্যেও কলকাতাসহ গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে রয়েছে একটা সুখবরও।

গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছে এসে পড়ায় বুধবার রাতে উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে খালি চোখেই। গোটা পশ্চিমবঙ্গে দেখা যাবে এ উল্কাবৃষ্টি।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত আকাশে যেদিকে কালপুরুষ নক্ষত্রমণ্ডল (৭টি তারা দিয়ে ‘শিকারী’র মতো চেহারা) সে দিকে তাকালেই দেখা যাবে এই উজ্জ্বল আলোর ঝর্ণা। কালপুরুষের মাথা থেকে বাঁ দিকে আকাশের উত্তরে তাকালেই দেখা যাবে ওই আলোর ঝর্ণা। এই ঝর্ণা আগামী তিন দিন ধরে দেখা গেলেও আজ রাতেই তা হবে সবচেয়ে উজ্জ্বল।

তিনি আরও জানান, কক্ষপথে সূর্যের কাছে এসে গেলে তার তাপে গ্রহাণুর পিঠ অসম্ভব তেতে ওঠে। আবার সূর্যের থেকে দূরে চলে এলে সেই পিঠ ঠান্ডা হয়ে ফেটে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়ে। টুকরো হয়ে যাওয়া গ্রহাণুর পিঠের অংশগুলি পৃথিবীর টানে আমাদের বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ে। বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণ হলেই এই আলোর ফুলঝুরি সৃষ্টি হয়। এটাকেই বলা হয় উল্কাবৃষ্টি।

সম্পর্কিত খবর