হলিউডের ব্যবসা সফল ছবি ওয়ান্ডার ওমেন। ছবিটিতে 'ওয়ান্ডার ওমেন' চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইসরায়েলে জন্ম নেওয়া অভিনেত্রী গ্যাল গাডট। সম্প্রতি 'ওয়ান্ডার ওমেন' অভিনেত্রীর একটি বিতর্কিত ভিডিও নেটদুনিয়ায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। ওই ভিডিওটি একটি পর্ন ছবির।
জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রীর এমন রূপ দেখে অবাক দর্শকরাও। কিন্তু একটু ভাল করে ভিডিওটি লক্ষ্য করতেই বেরিয়ে গেল আসল সত্যিটা। সবই প্রযুক্তির কেরামতি।
অনলাইন পোর্টাল ‘মাদারবোর্ড’-এর দাবি, ‘ডিপফেকস’ নামে এক প্রোগ্রামার এই ভিডিও তৈরি করেছে। ভিডিওটি একটু খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে কোনও এক পর্নস্টারের শরীরে নিখুতভাবে গ্যাল গাডটের মুখ বসানো হয়েছে।
‘টেনসরফ্লো’ নামে গুগলের এক ওপেন-সোর্স মেশিন লার্নিং টুল দিয়ে এই কাজ করেছে ওই প্রোগ্রামার। টুলটি গবেষকদের জন্য ফ্রি-তেই রেখেছে গুগল।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। চলতি বছরের অন্যতম জনপ্রিয় সিনেমা ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’। এর অন্যতম কারণ ৩২ বছরের অভিনেত্রী। এর জন্য কম খাটতে হয়নি অভিনেত্রীকে। শুটিংয়ের সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। সেই অবস্থাতেই অ্যাকশন ফ্লিকের জন্য শট দিয়েছেন।
এক সাক্ষাৎকারে গ্যাল জানান, শুটিংয়ের শেষের দিকে তিনি জানতে পারেন গর্ভাবস্থার কথা। কিন্তু কাউকে জানাননি। খুবই কষ্টে গোপন রেখেছিলেন সমস্ত কিছু। ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল। তা হাতছাড়া করতে চাননি নায়িকা। আর কেবল তাঁর জন্য ছবির কাজ বন্ধ থাকুক সেটাও চাননি। এই ঝুকির ভাল ফলই পেয়েছেন তিনি। দর্শকরা ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ হিসেবে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছে তাঁকে।
আইএমডিবি'র মতো অনলাইন সংস্থা তাঁকেই চলতি বছরের সেরা তারকা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। খ্যাতির শীর্ষে থেকেও প্রযুক্তির অপব্যবহারে এমন হেনস্তার শিকার হতে হল অভিনেত্রীকে।
ওয়ান্ডার ওম্যান ছবির ট্রেলার:
