আজ বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতিকে মেধাশূন্য করতে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। আজকের এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সর্বস্তরের মানুষ।
সকাল থেকেই রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জড়ো হতে থাকেন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ফুল দিয়ে, দোয়া করে তারা স্মরণ করেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের।শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রথমে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জয়নাল আবেদীন।
এরপর একে একে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও দলের সিনিয়র নেতারা শ্রদ্ধা জানানোর পর অন্যান্য দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া জাতীয় পার্টিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
সকাল থেকেই মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করছে সর্বস্তরের মানুষ। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দিতে দেখা যায় শ্রদ্ধা জানাতের আসা সাধারণ মানুষদের। সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।
সকাল ৮টার দিকে মূল বেদি থেকে মানুষের লাইন মিরপুর মাজার রোডের প্রধান সড়ক ও আশপাশের সড়কে গিয়ে ঠেকে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।