বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জন্য বেহেশত কামনা!

অধ্যক্ষ ড. ফায়জুল আমীর সরকার

বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জন্য বেহেশত কামনা!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসে বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জন্য বেহেশত কামনা করে প্রার্থনা করার ঘটনায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. ফায়জুল আমীর সরকারকে আটক করেছে পুলিশ।  

আজ শনিবার সকাল আটটায় গোপালপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণের পূর্বে একাত্তরে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ দোয়া অনুষ্ঠানে মোনাজাতে নের্তৃত্ব দেন গোপালপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. ফায়জুল আমীন সরকার।  

দোয়া অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ ড. ফায়জুল আমীন সরকার বলেন, হে আল্লাহ তুমি পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারি, যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের বেহেশত নসীব করো।

হে আল্লাহ তুমি বিচারের পর তাদেরকে বেহেশত নসীব করো। দোয়া অনুষ্ঠানে তার এ ধরনের বক্তব্যে উপস্থিত সকলেই হতবাক হয়ে যান। উত্তেজনা দেখা দিলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সকলকে শান্ত করেন।  

অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা শারমীন, ওসি হাসান আল মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আক্তার মুক্তা, পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা, জেলা পরিষদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের তালুকদার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহবায়ক এডভোকেট কেএম আব্দুস সালাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সোবহান তুলাসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ, সকল সরকারি কর্মকর্তা এবং মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা শারমীন জানান, দোয়া অনুষ্ঠানে এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক বক্তব্য শুনে তিনি নিজের কানকে প্রথমে বিশ্বাস করতে চাননি। একই কথা আবার রিপিট করলে তিনি মনোযোগ দিয়ে তা শোনেন। আশেপাশে যারা ছিলেন, তাদের নিকট থেকে তিনি শতভাগ নিশ্চিত হন।
 
ওসি হাসান আল মামুন বলেন, এমন ঘটনাটি সত্যিই হতবাক হওয়ার মতো। ঘটনার পর পরই তাকে আটক করা হয়েছে।  তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার জানান, একুশে গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান তিন আসামির বাড়ি গোপালপুরে। গোপালপুরের দুই জঙ্গি সম্প্রতি ক্রস ফায়ারে মারা গেছে। অধ্যক্ষ ড. ফায়জুলের মতো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মানুষ, যারা জামায়াত শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের মুখ থেকে এমন কথা বের হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমরা তার কঠিন শাস্তি চাই।  

সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং গোপালপুর কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সোবহান তুলা জানান, মুখ ফসকে হয়তো তিনি একথা বলেছেন। তবে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।  

সম্পর্কিত খবর