মামলা নিস্পত্তির টাকায় পূরণ হবে বাজেট ঘাটতি

মামলা নিস্পত্তির টাকায় পূরণ হবে বাজেট ঘাটতি

নিউজ ২৪ ডেস্ক

ভ্যাটের আওতা বাড়ানোসহ বকেয়া আদায়ের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। চলতি বছর থেকে ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ার ফলে বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।

এজন্য সিগারেট ও বিড়ি খাত থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা, ব্যাংক হিসাব ও বিমানের টিকিট থেকে আবগারি শুল্ক হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা, ফাস্টফুডের ওপর ১০% সম্পূরক শুল্ক থেকে ১০০ কোটি টাকাসহ শুল্ক খাতে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। জাতীয় সংসদে ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপিত হয়।

বৈঠকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ার কারণে ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণে বাজেট বাস্তবায়ন বিশেষভাবে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়নের কৌশল ও চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের কার্যপত্র থেকে আরও জানা যায়, রাজস্ব আদায়ের মনিটরিং জোরদারসহ এডিআরের মাধ্যমে বকেয়া রজস্ব আদায় ও কর প্রতিপালন বাড়ানোর মাধ্যমে আরও ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব।  

এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ অর্থনৈতিক স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত ৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের প্রাক্কলন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঘাটতির পরিমাণ কমে দাঁড়াবে ৫ হাজার ২০ কোটি টাকা।

এই ঘাটতি পূরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট কমিশনারেটের বড় মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব বলে আশা করছে। এ জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কাছে পাওনা দুই হাজার কোটি টাকা এবং পেট্রোবাংলার কাছে পাওনা ২২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য অর্থ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বৈঠকে অর্থ পাচার ও এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের অনিয়মের  বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ঋণ বিতরণ পরবর্তী মনিটরিংয়ে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য ব্যাংকটিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কমিটি অবিলম্বে বিদেশে স্থানান্তরিত অর্থ উদ্ধারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে বিষয়টি তদন্ত করার সুপারিশ করে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটি সভাপতি ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।

কমিটির সদস্য মো. আবদুল ওয়াদুদ, নাজমুল হাসান, ফরহাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মো. শওকত চৌধুরী এবং আখতার জাহান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত খবর