সালমানের গলায় টেলিফোনের তার জড়ানোর চেষ্টা করা হয় (ভিডিও)

সালমানের গলায় টেলিফোনের তার জড়ানোর চেষ্টা করা হয় (ভিডিও)

নিউজ ২৪ ডেস্ক

ঢালিউডের সাড়া জাগানো নায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ফেসবুকে মুখ খুলেছেন তার ভাই শাহরান। তিনি এমন কিছু তথ্য দিয়েছেন যা সালমানের মৃত্যু নিয়ে অসংখ্য প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সালমান আত্মহত্যা করেননি, তাকে খুন করা হয়েছে দাবি করে ফেসবুক লাইভে তিনি বলেছেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করলে তার রুমের দরজায় কেন দায়ের কোপ থাকবে? দেয়ালে কেন ধস্তাধস্তির চিহ্ন থাকবে? আমি নিজে দেখেছি সেসব।

আমার ভাই মার্লবোরো গোল্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট খেত, সেখানে অন্য ব্র্যান্ডের সিগারেটের খোসা আসল কোথা থেকে? কারা খেয়েছিল এই সিগারেট?
শাহরান বলেন, সালমান শাহ হত্যার পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।

আমরা যখন সালমানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই, তখন আমাদের সাথে চালাকির আশ্রয় নেওয়া হয়। আমার বাবা-মাকে আলাদা ভাবে সরিয়ে দিয়ে দ্রুত পোস্টমর্টেম করতে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি পোস্টমর্টেম এর সময় থাকতে চেয়েছিলাম, আমাকে থাকতে দেওয়া হয়নি। সালমান শাহ যদি আত্মহত্যাই করে থাকে তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে কেন করল? মানুষ তো ঘুম থেকে উঠে এ রকম করতে পারে না, করলে রাতেই করতে পারত।
কারও মানসিক অবস্থা যখন অস্থির থাকে তখনই সুইসাইড করে।  

 শাহরান প্রশ্ন তোলেন- যে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করে তাহলে ফ্যান একটুও বাঁকা হলো না কেন? ফ্যান তো ভেঙে পড়ার কথা। সালমান শাহ'র ওজন ছিল ১৪ স্টোন। এমন ওজনের একজন মানুষ ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করলো অথচ ফ্যানের প্লাস্টিকটাও ভাঙলো না। ব্লেডও বাঁকা হলো না। এরপর তাকে যখন দঁড়ি কেটে নামানো হয়, মাথা তো নিচে পড়বে। তাতে মাথায় হয়তো দাগ থাকবে। মুখের মধ্যে অনেক রকমের আলামত থাকবে। একটা সুইসাইডের কেসের মধ্যে যা থাকে যেমন, চোখ উল্টিয়ে যেতে হবে। জিহবা বের হয়ে যাবে। গলার মধ্যে অসংখ্য খামচির দাগ থাকবে কারণ শেষ মুহূর্তে সে বাঁচার চেষ্টা করবে। আমি সালমানকে গোসল করিয়েছি। তার গলায় দাগ ছিল না। জিহবা বাইরে ছিল না। চোখও উল্টায়নি।

শাহরান বলেন, সামিরাকে (সালমানের স্ত্রী) 'কিস' করার জন্য আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে (সালমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি) সালমান প্রকাশ্যে সোনারগাঁও হোটেলে চড় মেরেছিল। এই বিষয়টা সবাই জানে। আমার ভাইকে আমি চিনি, আমার সাথে সে অনেক ঘনিষ্ঠ ছিল। যদি তার মনে এ রকম কোনো চিন্তা থাকত তাহলে অবশ্যই আমার সাথে শেয়ার করত। আমরা একই বিছানায় ঘুমাতাম। দাফনের আগে আমি তাকে গোসল করিয়েছিলাম। তার গলায় ফাঁসির কোনো চিহ্ন ছিল না, একটা টেলিফোনের তার জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।

 

সম্পর্কিত খবর