দুই অধিনায়কের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র

সংগৃহীত ছবি

দুই অধিনায়কের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

চট্টগ্রাম টেস্টে পঞ্চম দিনের ১৭ ওভার বাকি থাকতেই ড্র মেনে নিয়েছে দুই দল। উপায়ও ছিল না। মুমিনুল–লিটনের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ৩০৭ রান করে ১০৭ রানের লিড পেয়েছিল টাইগাররা। ফলে এ ম্যাচ যে ড্র ছাড়া উপায় নেই বলাই বাহুল্য।

তাই দুই অধিনায়কের করমর্দনেই সমাপ্তি হয় প্রথম টেস্ট। অব্যবহৃত থেকে গেল ১৭টি ওভার।

রানের বন্যার পর পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে ড্র মেনে নিল দুই দলের অধিনায়ক। এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রানের জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ৭১৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল লঙ্কানরা।

 চতুর্থ দিন ৮১ রানে টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। পঞ্চম দিন ১১৯ রানে পিছিয়ে থেকে মাঠে নামে টাইগাররা। কিন্তু, ব্যাট হাতে পাহাড়ের মতো অটল হয়ে দাঁড়িয়ে যান মুমিনুল। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তুলে নেন ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। সঙ্গে হাল ধরেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ৩০৭ রান করে ১০৭ রানের লিড পায় টাইগাররা।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ রান করে ধনঞ্জয়ার শিকার হন মুমিনুল। তাঁর আউটের মধ্যে দিয়ে ভেঙে যায় চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৮০ রানের জুটি। মুমিনুল ফেরার পর মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় লিটনের। ব্যক্তিগত ৯৪ রানে হেরাথের বলে ফিরতে হয় মারকুটে এ ব্যাটসম্যানকে।

পুরো টেস্ট জুড়েই ব্যাটিং দাপট দেখিয়েছে দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান করে। ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ (২৮) ও মোসাদ্দেক হোসেন (৮)।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫১৩ করে। ১৭৬ রানেসর দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলেছিলেন মুমিনুল। জবাবে চতুর্থ দিন ৯ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা ৭১৩ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। যেখানে ২০০ রানের লিড পায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই ভরসা হয়ে দাঁড়ায় মুমিনুল। তুলে নেন আরেকটি সেঞ্চুরি। গড়েন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির ইতিহাস। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি তাই উঠেছে মুমিনুলের হাতেই।

সম্পর্কিত খবর