বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। ২০০৮ সালে এ মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ছয়জন আসামি। এ রায় নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জন্ম নিয়েছে।
বিশৃঙ্খলা ও যে কোন ধরণের সহিংসতা মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।এই ছয় আসামির বিরুদ্ধে যেসব ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, এতে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন, সর্বনিম্ন যেকোনো মেয়াদে কারাদণ্ড। এর সঙ্গে আর্থিক কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা ক্ষমতার অপব্যহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদক এই মামলা করেন।
এর মধ্যে খালেদা জিয়া ও কামাল সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুই ধারাতেই অভিযোগ আনা হয়েছে। আর বাকি চারজনের ক্ষেত্রে কেবল দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি তাহার সরকারি কর্মচারীজনিত ক্ষমতার বা একজন ব্যাংকার, বণিক, আড়তদার, দালাল, অ্যাটর্নি বা প্রতিভূ হিসাবে তাহার ব্যবসায় ব্যাপদেশে যে কোনো প্রকারে কোনো সম্পত্তি বা কোনো সম্পত্তির উপর আধিপত্যের ভারপ্রাপ্ত হইয়া সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করেন, সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা দশ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে এবং তদুপরি অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
আর দুদক আইনের ৫(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী অপরাধমূলক অসদাচরণ করিলে বা করার উদ্যোগ গ্রহণ করিলে তিনি সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের যোগ্য হইবেন। অপরাধমূলক অসদাচরণ সংশ্লিষ্ট অর্থিক সম্পদ অথবা সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হইবে।