সেই বাসটি পেলো রূপার পরিবার

সংগৃহীত ছবি

সেই বাসটি পেলো রূপার পরিবার

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাকিয়া সুলতানা রুপাকে যে বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, সেই বাসটি রূপার পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার এই মামলায় বাসের চালক ও তার সহযোগীসহ চারজনের ফাঁসি, একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সাথে এই আদেশও দিয়েছেন টাঙ্গাইলের একটি আদালত।

গত ২৫ আগস্ট ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৩৯৬৩) বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাত্র শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী রূপা খাতুন।

তাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। পুলিশ ওই রাতেই তাঁর লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে রূপার মরদেহ দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন।

রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপার ভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং চালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।

এই রায়ে সন্তোষ জানিয়ে রূপার ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, রূপাকে হত্যার সুবিচার পেয়েছি। আমরা আর কোনো রূপাকে হারাতে চাই না।

রূপার ভাই এই সব প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানান।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ ও এস আকবর খান দ্রুততম সময়ে বিচার শেষ করায় সন্তোষ জানিয়েছেন।

 

সম্পর্কিত খবর