ইউএনও'র মারধর, ৫ ছাত্রী হাসপাতালে!

সংগৃহীত ছবি

ইউএনও'র মারধর, ৫ ছাত্রী হাসপাতালে!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রাঙ্গামাটির লংগদুতে পরীক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাদ্দেক মেহ্দী ইমামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আতঙ্কে পাঁচ ছাত্রী জ্ঞান হারালে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার এসএসসি'র গণিত পরীক্ষা চলাকালে লংগদু বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র এই ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, পরীক্ষা চলাকালে সকাল ১১টার দিকে লংগদু বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ইউএনও।

কেন্দ্রের ৬নং কক্ষে জুনায়েদ ইসলাম পেয়ার নামের এক ছাত্র অন্যদের খাতা দেখাচ্ছে এ অভিযোগে তাকে চড় মারতে শুরু করেন ইউএনও এবং তার খাতা কেড়ে নেন।

একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে শার্টের কলার ধরে টেনে বাইরে এনে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। গালাগাল ও চিৎকার করে বলেন, তাকে বহিষ্কার করে দেবেন। একথা শুনে শুভ নামের অন্য এক শিক্ষার্থী পেয়ারকে ইউএনও’র কাছে ক্ষমা চাইতে বললে তাকেও চড় মারেন ইউএনও।

এ সময় দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শক শিক্ষকরা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন। এক শিক্ষিকা বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে কান্নাকাটি করেন বলে জানিয়েছেন তারই এক সহকর্মী।

পেয়ার বলেন, সামান্য কারণে আমাকে ১৫-২০টা চড় মেরেছেন। খাতাও কেড়ে নিয়েছেন ইউএনও। ঘটনার পর আধাঘণ্টা কিছু লিখতেই পারিনি। পরীক্ষাও খারাপ হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কক্ষ পরিদর্শক ও শিক্ষক বলেন, আমার দীর্ঘদিন পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন খারাপ আচরণ করতে কোনো কর্মকর্তাকে দেখিনি। উনার (ইউএনও) এমন রূঢ় আচরণের কোনো প্রতিবাদই করতে পারিনি আমরা।

এ খবর লংগদু সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা শুনলে তারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আতঙ্কে পাঁচ ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাদের লংগদু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাবেতা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

শাহীনা আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, ছেলে-মেয়েরা ভুল করতেই পারে। এভাবে মারধর করে ঠিক করেননি ইউএনও।

লংগদু বালিকা বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক রবিরঞ্জন চাকমা বলেন, ইউএনও স্যার রাগারাগি করেছেন এটা শুনেছি। চড় মারার বিষয়টি জানি না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাদ্দেক মেহ্দী ইমাম বলেন, মারধর করা হয়নি। শুধু ধমক দেয়া হয়েছে। অসুবিধা নেই, এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।

সম্পর্কিত খবর