ফোর–জি'র যাত্রা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি

প্রতীকী ছবি

ফোর–জি'র যাত্রা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি

১৫.৬ মেগাহার্টজের তরঙ্গ কিনেছে বাংলালিংক ও জিপি
নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ফোর-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা অবশেষে আসছে। ফোরজি বিস্তৃত করার জন্য তরঙ্গের নিলাম আজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে মোট ১৫.৬ মেগাহার্টজের তরঙ্গ কিনে নিয়েছে বাংলালিংক ও গ্রামীনফোন। ২০ তারিখ ফোরজি সেবার লাইসেন্স প্রদান করা হবে।

নিলামে অংশ নেয় গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এই নিলাম শুরু হয়।

নিলামে ডাক, টেলিযোগাযেোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নিলামে অংশ নেওয়া অপারেটর দুইটির শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ফোরজি নীতিমালা অনুসারে ১৮ মাসের মধ্যে সবগুলো জেলা শহরে নতুন প্রজন্মের এ সেবা চালু করতে হবে। আর ৩৬ মাসের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে এই সেবা নিয়ে যেতে হবে। তবে শুরুর দিকে শুধু বড় শহরেই এই সেবা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কেননা, এখনো সারা দেশে থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে পারেনি টেলিকম অপারেটরগুলো।

অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, থ্রি-জির তুলনায় ফোর-জি ইন্টারনেটের গতি হবে কমপক্ষে দ্বিগুণ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেন সিগন্যালের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে থ্রি-জি ইন্টারনেটের গড় গতি ৩ দশমিক ৭৫ এমবিপিএস (মেগাবিটস প্রতি সেকেন্ড)। আর বিশ্বে ফোর-জি প্রযুক্তির গড় গতি ১৬ দশমিক ৬ এমবিপিএস। ভারতে ফোর-জির গড় গতি বর্তমানে ৬ দশমিক ১৩ এমবিপিএস। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের মতো দেশে ফোর-জির গতি ৯ থেকে ১৪ এমবিপিএসের মধ্যে। ফোর-জি গতিতে বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দুই দেশ হলো সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্বজুড়ে ৩৮ লাখ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ৫ হাজার কোটি তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে একেকটি দেশের ফোর-জি ইন্টারনেটের গতি নির্ধারণ করে ওপেন সিগন্যাল।

সম্পর্কিত খবর