প্রেমে ব্যর্থতার কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুই বছরে প্রায় ১৬০০ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আর বেকারত্বের চেয়ে প্রেমের ব্যর্থতায় আত্মঘাতীর সংখ্যা প্রায় চারগুণ। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে ভয়ঙ্কর এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতি বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনার সংখ্যা এবং কারণ রিপোর্ট আকারে প্রকাশ করা হয়।
সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, ২০১৫ সালে এ রাজ্যে ‘প্রেমঘটিত’ কারণে আত্মঘাতীর সংখ্যা ছিল ৪০২। তার আগের বছর সংখ্যাটা ছিল ৪৪৫। ২০১৩ সালে প্রেমঘটিত কারণে আত্মঘাতী হন ৬৩৫ জন। ২০১২ সালের রিপোর্টে প্রেমের কারণে আত্মঘাতীর সংখ্যা উল্লেখ নেই।তথ্য বলছে, ২০১৫ এবং ২০১৪ সালে প্রেমের কারণে আত্মঘাতী মানুষের সংখ্যা বিবেচনায় দেশে পশ্চিমবঙ্গের স্থান ছিল তৃতীয়। ২০১৩ এবং ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ ছিল যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং প্রথম স্থানে। ২০১৫ সালে প্রেমে আঘাত পেয়ে, ব্যর্থ হয়ে বা ভালবাসায় বিচ্ছেদের কারণে আত্মঘাতী মানুষের সংখ্যা ৪০২ জন যা কাজ না-পেয়ে আত্মঘাতীর সংখ্যার ( ১০২) প্রায় চারগুণ।
রিপোর্টে দেখা গেছে, বিবাহঘটিত সমস্যার জেরে এ রাজ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেন।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘বাঙালিরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ায় এ রাজ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও অনেক বেশি। ’’ মনোবিদদের একাংশের মতে, সদ্য যৌবনে পা দেওয়া ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হন, ওই সময় প্রেমে আঘাত পেলে কেউ কেউ চটজলদি জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
তাদের মতে, ‘‘সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে, এটা ধরে নিয়েই সম্পর্ক তৈরি করা উচিত। সম্পর্ক ভাঙা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাকে আজ যে ভালবাসছে, কাল আমাকে তার ভাল না-ও লাগতে পারে। বোকারাই এমন ঘটনায় নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ’’
এসব ক্ষেত্রে পরিবারকেই কাউন্সেলিংয়ের মুখ্য কাজটি করতে হবে বলে মত দেন মনোবিদরা। সূত্র: এবেলা