চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণের করে সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ওই পরীক্ষার্থীর গহনাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী আরিফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে জীবননগর থানায় তিনজনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম আরিফের সঙ্গে বছর খানেক আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
ওই ছাত্রী জানায়, রবিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আরিফুল তাকে মোবাইল করে ডেকে নেয়। দিনভর ঘোরাঘুরির পর তাকে উপজেলার খয়েরহুদা গ্রামের একটি ভুট্টা খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আরিফের দুই বন্ধু জুয়েল ও সিরাজুলও তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা জানায়, ধর্ষণের দুই দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরিফ গহনা ফেরত দেয়ার কথা বলে আবারও আমার মেয়েকে দেখা করতে বলে। তার কথা মত আমার মেয়ে উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের একটি ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয়। এ সময় আরিফ সেখানে আসলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ আরিফকে আটক করে নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই পরীক্ষার্থী বাদী হয়ে আরিফ, জুয়েল ও সিরাজুল ইসলামের নামে জীবননগর থানায় একটি মামলা করেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আরিফকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
