খালেদা জিয়া নির্বাচনে না গেলেও বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারাই দাবি করছেন যে খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তাদের দল আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। তাহলে কিসের আলোচনা? বিএনপি নির্বাচনে আসবেই, আলোচনার প্রয়োজন নেই।
শনিবার দুপুরে ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়নে দেশের মানুষ খুশি। তাই বেগম খালেদা জিয়ার রায় তার বিরুদ্ধে যাওয়ার পরও দেশের মানুষ রাস্তায় নামেনি।
এদিকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি।
তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বরাবরই বলে আসছেন, সংবিধান অনুসরণ করে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। তাতে বিএনপি না এলে তাদের কিছু যায়-আসে না।
এর মধ্যে দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার পর দুই দলের মধ্যে বাকযুদ্ধ আরও বেড়ে গেছে। বিএনপি অভিযোগ করছে, তাদেরকে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই তাদের নেত্রীকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। এটা সরকারের নীলনকশা বলে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন বিএনপি'র সিনিয়র নেতারা। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি।
তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই খালেদা জিয়ার রায়ের সঙ্গে তাদের কোন সংযোগ নেই বলে দাবি করে আসছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিষয়ে কাদের বলেন, জোরালো কর্মসূচি পালনের ‘সামর্থ্য নেই’ বলে দলটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে।
খালেদা জিয়ার রায়ের অনুলিপি সরকার আটকে রেখেছে বলে যে অভিযোগ বিএনপি নেতারা করছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, “খালেদা জিয়ার মামলার ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সার্টিফাইড কপি পেতে যুক্তিসঙ্গত কিছু সময় লাগেই। এ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করার প্রয়োজন নেই। শিগগিরই রায়ের কপি পেয়ে যাবে আইনজীবীরা। ”
মতবিনিময়কালে ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়, পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বিকম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল ও ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী উপস্থিত ছিলেন।
