পর্নো তারকার পর মুখ খুললেন ট্রাম্পের প্লেবয় সুন্দরী

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কারেন ম্যাকডোগাল (ম্যাকডোনালের ইনস্টাগ্রামের ছবি)

পর্নো তারকার পর মুখ খুললেন ট্রাম্পের প্লেবয় সুন্দরী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ট্রাম্পের সঙ্গে পর্নো তারকা স্টেফানি গ্রেগরি ক্লিফোর্ডের শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে ঝড় না থামতেই বোমা ফাটালেন প্লেবয় সুন্দরী কারেন ম্যাকডোগাল। তিনি জানিয়েছেন, 
২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ১০ মাস তার সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। অনেকবারই তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বিছানায় গেছেন। এমনকি ট্রাম্প তাকে তার জীবনে ‘বিশেষ’ নারী বলে সম্মান দেখিয়েছিলেন।

ম্যাকডোগালের এমন বক্তব্যের পর ট্রাম্পকে নিয়ে সমালোচনা আরও জোরদার হয়েছে। কেউ কেউ রশিকতা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, যৌনতায় বিশ্বের সকল প্রেসিডেন্টকে হারা মানাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ব্যবসায়ী থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একে একে সামনে আসছে ট্রাম্পের যৌন কেলেঙ্কারির খবর। বিষয়টা যে তার সংসারেও প্রভাব ফেলেছে তা বেশ কয়েকটা ভিডিও দেখে অনুমান করা গেছে।

খবর বেরিয়েছেন, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমান না। কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, চলার পথে ট্রাম্প স্ত্রীর হাত ধরতে গেলে তা সরিয়ে নেন মেলানিয়া। তখন থেকেই গুঞ্জন চলছে, স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না ট্রাম্পের। তবে কারণটা অস্পষ্ট ছিল। কিন্তু, পর্নো অভিনেত্রী থেকে প্লেবয় সুন্দরীরা ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা জানান দিতে শুরু করায় বিষয়টা এখন অনেকটাই পরিষ্কার।

যদিও কারেন ম্যাকডোগালের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বরাবরের মতোই একে ফেইক নিউজ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এই সম্পর্কের খবর ফাঁস হওয়ার পর ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের শীতল প্রতিক্রিয়ার খবরও এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে।

ম্যাকডোগালের দাবি অনুযায়ী, তার সঙ্গে যখন ট্রাম্পের সম্পর্ক চলছিল, তখনই মেলানিয়ার গর্ভে ট্রাম্পের সন্তান ব্যারনের জন্ম হয়েছিল।

অন্যদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত মাসে এক প্রতিবেদনে দাবি করে, ২০০৬ সালে স্টেফানির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ট্রাম্প। তখন তাঁর একমাত্র পরিচয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। ওই ঘটনার চার মাস আগে বর্তমান ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প তাঁর ছেলে ব্যারনের জন্ম দেন। স্টেফানির মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক মাস আগে ট্রাম্প তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: মুখ খুলবেন সেই পর্নো তারকা, দুঃশ্চিন্তায় ট্রাম্প!

দেখা গেছে, মেলানিয়া যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তখনই এসব নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ট্রাম্প। কারণ, কারেন ও স্টেফানি দুজনই দাবি করেছেন, ২০০৬ সালে তাদের সঙ্গে ট্রাম্পের শারীরিক সম্পর্ক হয়। আর ওই সময়ই মেলানিয়ার গর্ভে ছিল ব্যারন।

নিউ ইয়র্কার সাময়িকীকে ম্যাকডোগাল বলেন, ২০০৬ সালে প্লেবয় ম্যানশনে প্লেবয় কর্ণধার (বর্তমানে প্রয়াত) হিউ হফনারের একটি পার্টিতে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হয়েছিল ব্যবসায়ী ট্রাম্পের। তখন তার প্রতি আসক্তি দেখে তাকে ট্রাম্পের ‘পরবর্তী স্ত্রী’ আখ্যায়িত করেছিলেন প্লেবয়ের একজন বিপণন কর্মকর্তা।  

প্লেবয় ম্যানশনে সাক্ষাতের পর ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বাংলো বেভারলি হিলসে নিয়মিত মিলিত হয়েছেন বলে দাবি ম্যাকডোগালের।

তিনি তার দিনলিপিতে লিখেছেন, “ট্রাম্প আমাকে অর্থ দিতে চেয়েছিল। সে কথা শুনে আমি তখন আহত হয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমি সেই রকম মেয়ে নই। আমি অর্থের জন্য তোমার সঙ্গে শুইনি। আমি তোমাকে পছন্দ করেছি বলে তোমার সঙ্গে শুয়েছি। ''

“তখন সে বলেছিল, তুমি ‘স্পেশাল ওয়ান’। ”  

ম্যাকডোগাল বলছেন, অ্যামেরিকান মিডিয়া ইনকর্পোরেটের (এএমআই) সঙ্গে দেড় লাখ ডলারের একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার পর ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে নীরব ছিলেন তিনি। কারণ ট্রাম্পেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডেভিড পিকার অ্যামেরিকান মিডিয়া ইনকর্পোরেটের মালিক।

ম্যাকডোগাল বলছেন, তার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক চলার মধ্যে তিন মাসের ব্যারনকে নিয়ে নিউ ইয়র্কে ফিরেছিলেন মেলানিয়া, যিনি ট্রাম্পের তৃতীয় স্ত্রী। এই সম্পর্কের কথা প্রকাশ নিয়ে বেশ নার্ভাস ছিলেন তিনি, তবে স্টেফানি মুখ খোলার পর উৎসাহিত হন। সাহস পান।

২০০৭ সালে ট্রাম্পের মুখে এক বর্ণবাদী মন্তব্য শুনে তার প্রতি আগ্রহ হারান ম্যাকডোগাল। ওই বছরের এপ্রিলে তাদের সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে।

এদিকে নিউ ইয়র্কারে যখন খবরটি ছাপা হয়, তখন মেলানিয়া ও ট্রাম্প ফ্লোরিডায়; স্কুলে এক তরুণের গুলিতে হতাহত পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা জানাতে গিয়েছিলেন তারা।

সিএনএন’র এর এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান থেকে নামার সময় ট্রাম্প হাত ধরতে গেলে ঝটকা দিয়ে সরিয়ে দেন মেলানিয়া। মেলানিয়ার এই প্রতিক্রিয়া নিউ ইয়র্কারে খবরটি দেখে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে হোয়াইট হাউস বলেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে কখনও ম্যাকডোগালের কোনো সম্পর্ক ছিল না। প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এগুলো করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর