এক মামলায় ৪ বার মৃত্যুদণ্ড, একবার যাবজ্জীবন

শিশু জয়নব আনসারির ধর্ষক ও হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

মেয়েশিশুদের ধর্ষণের পর হত্যা ছিল ইমরানের নেশা

এক মামলায় ৪ বার মৃত্যুদণ্ড, একবার যাবজ্জীবন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

লাহোরের সাত বছরের শিশু জয়নব আনসারি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ইমরান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত।

বিবিসি জানায়, ইমরান (২৪) অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যা ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন এবং সবগুলোতে তাকে আলাদাভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সমকামিতার অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

৪ জানুয়ারি থেকেই নিখোঁজ ছিল শিশু জয়নব।

মক্তবে কোরআন পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে সে অপহৃত হয়। ওমরা পালন করতে ওই সময় তার পিতা-মাতা সৌদি আরবে ছিলেন। ৯ জানুয়ারি বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে লাহোরের দক্ষিণে কাসুর শহরের একটি ময়লার ভাগাড় থেকে জয়নবের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জয়নবকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার প্রমাণ মেলে।

পুলিশি তদন্তে একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়। সেখানে জয়নবকে এক ব্যক্তির হাত ধরে চলে যেতে দেখা যায়।

জয়নবের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করে। উত্তাল হয়ে ওঠে পাকিস্তান। বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুই বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে সড়ক থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই কোমর বেঁধে নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় প্রায় পাঁচ হাজার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ডিএনএ পরীক্ষায় সামনে আসে আরেক ভয়ঙ্কর তথ্য। বিভিন্ন সময় নিহত ৬ মেয়ে শিশুর দেহে পাওয়া যায় একই ব্যক্তির ডিএনএ। তদন্তের পর গ্রেপ্তার করা হয় এ ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন ইমরান আলীকে।  

news24bd.tv

২৩ জানুয়ারি রাতে লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানান, পাকিস্তানে ছয় বছরের শিশু জয়নব আনসারি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মূল সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শাহবাজ শরিফ বলেন, ২৪ বছর বয়সী ওই হত্যাকারী ও ধর্ষকের নাম ইমরান আলী। তিনি একজন 'সিরিয়াল কিলার'। গত দুই বছরে ৬ থেকে ৭ বছরের একাধিক মেয়েশিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তিনি জানান, জয়নবের খুনিদের ধরতে এক হাজার ১৫০ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব কাজ শেষে খুনিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

সম্পর্কিত খবর