জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সমাবেশ

ফাইল ছবি

জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সমাবেশ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক: দ্বিতীয়বারের মতো জাতিসংঘ সদরদপ্তরে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হলো ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’।  

বুধবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুম-৪ এ দিবসটি উপলক্ষে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  জাতিসংঘ সদর দপ্তর, ইউনেস্কোর নিউইয়র্কস্থ কার্যালয়, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিস এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনসহ কলম্বিয়া, ফিজি ও তানজানিয়া মিশনের উদ্যোগে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

নিউইয়র্ক সফররত বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান (এমপি) বাংলাদেশ ডেলিগেশনের পক্ষে এ সভায় বক্তব্য দেন।

তিনি বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার দাবি জানান।  

ফারুক খান বলেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে প্রস্তাব পেশ করেন। বাংলা বিশ্বের ষষ্ঠ বা সপ্তম জনপ্রিয় ভাষা, যে ভাষায় প্রায় ৩০ কোটি মানুষ কথা বলে।

প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব বিবেচনায় আনতে তিনি উপস্থিত জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে অর্জন করে মহান স্বাধীনতা।  

ফারুক খান বলেন, বিশ্বসভায় বাংলা ভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে জাতির পিতা ১৯৭৪র' ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথমবারের মতো বাংলায় ভাষণ দেন, যা অনুসরণ করে প্রতিবছর সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০০ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ২০০১ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

এর আগে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।  

আলোচনায় আরো অংশ নেন জাতিসংঘে কলম্বিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি মারিয়া ইম্মা মেহিয়া ভেলেজ, তানজানিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি মডেস্ট জে. মিরো , ফিজির চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স লুকে দাউনি ভালু, জাতিসংঘের জেনারেল এসেম্বলী ও কনফারেন্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরাইন পোলার্ড এবং ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক ইনফরমেশন ও গ্লোবাল কমিউনিকেশনের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অ্যালিসন স্মেল।
 

সম্পর্কিত খবর