শাকিব-অপু অধ্যায়ের চূড়ান্ত সমাপ্তি

ফাইল ছবি

শাকিব-অপু অধ্যায়ের চূড়ান্ত সমাপ্তি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শেষ পর্যন্ত শাকিব-অপু অধ্যায়ের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটল। অনেক চেষ্টার পরও টিকল না তাদের সংসার। আইন অনুযায়ী আজ থেকে আর স্বামী-স্ত্রী নন তারা। ২০১৭র’ ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসকে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে তালাক নোটিশ পাঠান শাকিব খান।

আইন অনুযায়ী নোটিসের তিনমাস (৯০ দিন) পর তালাক কার্যকর হয়। আজ (২২ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার পূর্ণ হলো তিন মাস।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করেছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।

অপু এগিয়ে এলেও উপস্থিত ছিলেন না শাকিব। তাই তাদের এক করা যায়নি। হিসাব অনুযায়ী ডিভোর্স লেটার পাঠানোর তিন মাস পূর্ণ হওয়ায় তাদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘটছে। তালাকের পর বিয়ের দেনমোহর বাবদ সাত লাখ টাকা অপুকে পরিশোধ করবেন শাকিব খান। এ ছাড়া তিনি একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের ভরণপোষণ করবেন।

২০০৮ সালের ১৮ই এপ্রিল বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন ঢাকাই ছবির হিট জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর জন্ম হয় তাদের সন্তান আব্রাম খান জয়ের। দীর্ঘদিন এসব খবর অপ্রকাশিত থাকে। গত বছরের এপ্রিলে একটি টিভি চ্যানেলের লাইভে এসে বিয়ের খবর ফাঁস করেন অপু বিশ্বাস। সন্তানকেও সবার সামনে নিয়ে আসেন সে সময়। এরপর অবশ্য বেশ কিছুদিন শাকিব ও অপুকে একসঙ্গে দেখা গেছে। তবে বেশি দিন তারা এক থাকেননি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয় দুজনের।

সেসব মিডিয়াতে নিয়মিতই প্রকাশ পায়। পরে শাকিব খান তিন মাস আগে ডিভোর্স নোটিশ পাঠান অপুর কাছে। এরপর অপু বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন সংসার টিকিয়ে রাখতে। শাকিব চাননি সংসার আর টিকিয়ে রাখতে। শেষ পর্যন্ত অপুও জানিয়েছেন তিনি ডিভোর্স মেনে নিয়েছেন।

শাকিব-অপুর সম্পর্ক ও বিয়ে যেভাবে
জাকির হোসেন রাজুর ‘মনে প্রাণে আছো তুমি’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে শাকিব অপু এক হয়। এ ছবি করতে গিয়ে ফোনে কথা বলা শুরু হয় তাদের। শাকিবের প্রতি দুর্বলতা শুরু হলো অপু বিশ্বাসের।  

অপুর ভাষায়, আশুলিয়ার প্রিয়াঙ্কায় পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের ‘কথা দাও সাথী হবে’ ছবির শুটিং চলছিল। একদিন গাড়িতে মামুন ভাই, শাকিব ও আমি ছিলাম। হঠাৎ শাকিব মামুন ভাইকে একটা জায়গায় নামিয়ে দিয়ে আমার সঙ্গে গাড়িতে কথা বলা শুরু করল। ওই ছবির শুটিং চলা অবস্থাতেই শাকিব বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তখন মিরপুর শাহ আলী মাজার রোডের একটি বাসায় থাকতাম আমি। শাকিব আমাকে সেদিন বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর আমি শাকিবকে বললাম, এটা সিনেমা না আমার জীবন। স্বামী হিসেবে স্ত্রীকে যেসব মর্যাদা দেয়া উচিত সেগুলো আমি পাব কি-না সেটা জানতে চাই। তখন আমার সব কথা মেনে নিয়েছিল শাকিব। এরপর দুজনের সিদ্ধান্তে বিয়ে হয়।  

২০০৮ সালের  ১৮ই এপ্রিল শুক্রবার বিয়ে হয়। মামুন ফরিদপুরে শাকিবের বাড়ির কাছ থেকে মজিবুর রহমান নামের এক কাজী সাহেবকে নিয়ে আসে এবং আমরা বিয়ে করি। বিয়ের পুরো বিষয়টি তখন কেবল আমার মেজ বোন লতা ও শাকিবের চাচাতো ভাই মনির জানতেন।  

সম্পর্কিত খবর