মঞ্চে মমতার পা ধরতে গেলেন যুবতী, অতপর...

সংগৃহীত ছবি

মঞ্চে মমতার পা ধরতে গেলেন যুবতী, অতপর...

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে থানার মাঠে একটি সরকারি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সেই সময়েই রাবেয়া নামে এক যুবতী মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রীর পা ধরতে যান। মুখ্যমন্ত্রী সরে যান। রাবেয়াকে ওখানেই আটক করেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী।

তার আগে রাবেয়ার বোন আফসারাকে মঞ্চের নীচেই আটকে দিয়েছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চকে ঘিরে চারটি নিরাপত্তা বলয় থাকে। দায়িত্বে থাকেন এসপি পদমর্যাদার এক পুলিশকর্তা।

দু’জন ডিএসপি পদমর্যাদার কর্মীর পাশাপাশি থাকেন প্রায় ১০০ জন পুলিশকর্মী। তল্লাশির কড়াকড়ি মেনে প্রথমটি পেরিয়ে যেতে পারেন সাংবাদিকেরা। কিন্তু, পরের তিনটি বেষ্টনীকে কার্যত ঘিরে রাখেন জনা পঞ্চাশেক নিরাপত্তাকর্মী। সেই বলয় পেরিয়ে কীভাবে ওই দুই যুবতী ঢুকে পড়লেন? প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।  

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাবেয়া-আফসারার বাবা ২০১৫ সালে জমি বিবাদে খুন হন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই আফসারার পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়। রাবেয়াকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চাকরি দেওয়া হয়েছে। গীতাঞ্জলি প্রকল্পে তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি দুটাকা কিলো দরে চাল এবং এক বোনের বিয়ে ও ভাইয়ের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে এক জন এ কথা মনে করিয়ে দিতেই তিনি ওই মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘এত কিছু করে দেওয়া হয়েছে। আর কী চাই! যদি কিছু প্রয়োজন হয় চিঠি লিখুন। এ ভাবে হয় না। ’’ পাশাপাশি তিনি সকলের উদ্দেশে বলেন, ‘‘এমন চেষ্টা করবেন না। তা হলে কিন্তু কাজ হবে না। ’’

নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসারও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

সূত্র: আনন্দবাজার

সম্পর্কিত খবর