‘মেরে ফেললে তো শেষ, বাঁচিয়ে রেখে মারো’

মওদুদ আহমেদ। 

‘মেরে ফেললে তো শেষ, বাঁচিয়ে রেখে মারো’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

তিনি বেলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ সরকার বিশ্বাস করে না। যে কারণে আজ বিএনপি'র শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা প্রদর্শন অনুষ্ঠানে হামলা করেছে। নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরতে হবে।

আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন এক সাথে পরিচালনা করতে হবে।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সাজা বাতিলের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদী যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মওদুদ বলেন, রোমে ৫শ’ বছর আগে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের শাস্তি দেওয়া হতো বাঁচিয়ে রেখে কষ্ট দিয়ে।

মেরে ফেললে তো একবারে শেষ। তাই যত ধরনের দুর্যোগ, অত্যাচার, নির্যাতন, নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের মধ্যে রেখে শাস্তি দিত। অর্থাৎ বাঁচিয়ে রেখে মারো। সেটা এখন এই দেশে হচ্ছে।

১৯৭৫ সালের একদলীয় সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের কোনো ভিন্নতা নেই মনে করে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ওই সময়ে চেয়ে সরকার এখন আরও বেশি ভয়াবহ। কারণ ওই সরকারের সময় আওয়ামী লীগ বলেই দিয়েছিল তারা ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। তারা আর কিছু তখন করেনি।

মওদুদ আহমেদ বলেন, আজ দেশে গড়ে ১০ জন করে প্রতিদিন খুন হচ্ছে, ধর্ষণ হচ্ছে ৫ জন। হাজার হাজার মানুষ নির্বিচারে আটক-গ্রেপ্তার হচ্ছে। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কিন্তু বিরোধী মত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমাতে মরিয়া। আজ বিএনপি'র শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা প্রদর্শন অনুষ্ঠানে হামলা করেছে পুলিশ। নেতাকর্মীদের আটক করেছে। এ থেকে স্পষ্ট যে সরকার চায় না বিরোধী কোনো মত ও বাকস্বাধীনতা থাক। নেতাকর্মীদের ধৈর্যশীল হতে হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এক সাথে চালাতে হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে সরকার ভাবছে আবারও একই কায়দায় নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন সে অাশা পূরণ হবে না। বেগম জিয়া আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মুক্তি পাবেন। মুক্তিতে যদি দেরিও হয় তবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে, ধৈর্য ধরতে হবে।

বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী জানিয়ে মওদুদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএনপি একবার রাস্তায় নেমে গেলে দৃশ্যপট পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী।

সম্পর্কিত খবর