স্পেসস্যুটের মধ্যেই চলবে শৌচকর্ম!

ছবি সৌজন্য: নাসা

নাসার নতুন আবিষ্কার

স্পেসস্যুটের মধ্যেই চলবে শৌচকর্ম!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নিত্য-নতুন উদ্ভাবনে হরহামেশাই বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় নাসা। তাদের আবিষ্কার ও গবেষণা নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহলের যেন শেষ নেই। এবার সেরকমই এক চমক দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থাটি।

নাসার প্রকৌশলীরা নভোচারীদের জন্য এমন এক স্পেসস্যুট তৈরি করতে যাচ্ছেন, যেটার মধ্যেই শৌচকর্মের ব্যবস্থা থাকবে।

অ্যাপোলো যুগে এই বিশেষ পোশাকের ব্যবহার থাকলেও তাতে দীর্ঘ সময়ের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ছিল না। আগে দীর্ঘ মহাকাশ সফরে নভোচারীদের শৌচকর্মের জন্য বার বার স্পেসস্যুট খুলতে হতো।

তবে পরবর্তী প্রজন্মের মহাকাশযান ওরিয়নের নভোচারীদের জন্য প্রকৌশলীরা যে পোশাকটি তৈরি করছেন তাতে থাকবে স্বয়ংক্রিয় টয়লেট, যেখানে স্পেসস্যুটে শুয়েই ক্রুরা অন্তত ছয়দিন শৌচকর্ম সারতে পারবেন। এতে করে মহাকাশে দীর্ঘ ভ্রমণে ক্রুদের ঘন ঘন শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

স্যুটের সঙ্গে জালের ন্যায় একটি ব্যাগও যুক্ত থাকবে। তবে প্রকৌশলীরা কেবল মাত্র জরুরি প্রয়োজনে এই ‌'বিল্ট-ইন টয়লেট' ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।  

নাসা এরইমধ্যে  স্যুটটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার চালিয়ে সফল হয়েছে। তারা বিশেষ এই পোশাকটির নাম দিয়েছেন ওরিয়ন ক্রু সারভাইভাল সিস্টেমস স্যুটস (ওসিএসএসএস)। শিগগিরি নারী নভোচারীদের জন্যও এমন অত্যাধুনিক স্যুট তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন নাসার প্রকৌশলী কার্সটিন জনসন।

ওরিয়ন এমন এক মহাকাশযান, যা পৃথিবীর কক্ষপথের বেশ নিচ দিয়ে নভোচারী বহনে সক্ষম। এতে করেই মানুষকে মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল নাসা। কিন্তু, ওরিয়নের আকার মানুষকে মঙ্গল ঘুরিয়ে নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট নয়। লালগ্রহে যাওয়া-আসার জন্য অন্তত নয় মাস সময় লাগবে। এতোটা ক্ষমতা ওরিয়নের নেই। তবে পরবর্তী প্রজন্মের এই যানটি খুব সহজেই মানুষকে চাঁদ থেকে ঘুরে নিয়ে আসতে পারবে।

সম্পর্কিত খবর