মাথা জোড়া লাগানো যমজ কন্যাশিশু রাবেয়া-রোকাইয়ার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা শুরু হয়।
এ ব্যাপারে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, অস্ত্রোপচারের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে এনজিওগ্রামের মাধ্যমে শিশু দুটির রক্তনালীর অবস্থান ও রক্তের প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
বুধবার দ্বিতীয় ধাপে তাদের পরীক্ষা শুরু হবে। জোড়া শিশু দুটি ভালো আছে।সামন্ত লাল সেন বলেন, তাদের আলাদা করার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে বছরখানেক সময় লাগবে। এটি জটিল প্রক্রিয়া।
বিদেশি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এমন অপারেশনে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি। এর পরও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাবেয়া-রোকাইয়ার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড সব ধরনের চেষ্টা করছে বলে জানান ডা. সামন্তলাল সেন।
শিশু বাবা তাদের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, আমাকে জানানো হয়েছে যে তাদেরকে আলাদা করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তবুও আমরা চিকিৎসকদের কথায় তাদের অস্ত্রোপচারের জন্য রাজি হয়েছি। ওদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। মেয়েরা আলাদাভাবে হাটবে, খেলবে, আলাদাভাবে বেড়ে উঠবে এইটাই আমাদের প্রত্যাশা।
পাবনা চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তসলিমা দম্পতির সন্তান রাবেয়া, রোকাইয়া। ২০১৬র' ১৬ জুলাই পাবনা শহরের একটি ক্লিনিকের ভর্তি হলে সেখানে অস্ত্রোপচার প্রচার করে এ যমজের জন্ম হয়।