রাতে ভাঙছে প্রাণের মেলা

রাতে ভাঙছে প্রাণের মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ শেষ হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। আর এর মধ্য দিয়ে ভাঙছে লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের মিলনমেলা। এবারই প্রথম বড় পরিসরে বাংলা একাডেমি ও এবং তৎসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার আয়োজন করা হয়।  মেলার পরিধি পাঁচ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে ছিল ।

মেলায় সময়ও এক ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত করা হয়।   

মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ১২টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়। এসব চত্বরের নাম দেয়া হয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে। একাডেমি প্রাঙ্গনে ৯২টি প্রতিষ্ঠানটিকে ১২৬টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৮৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়।

এছাড়া বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ হাজার ৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়।

বইমেলায় বাংলা একাডেমিসহ অন্যান্য প্রকাশনী সংস্থা ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করে। তবে বিকাশের মাধ্যমে মেলা থেকে বই কিনলে আরও ১০% কমিশন মেলে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও বই মেলা জুড়ে ফ্রি ওয়াইফাই ইন্টারনেট পরিসেবা ছিল। মেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিন সেমিনার ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।

শেষ দিন মেলা শুরু হয়েছে বিকেল তিনটায়। চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। বিকেলে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে রয়েছে বাংলাদেশের আদিবাসী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাহমান নাসির উদ্দিন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ফয়জুল লতিফ চৌধুরী এবং রণজিত সিংহ। সভাপতিত্ব করবেন রাশিদ আসকারী।

সন্ধ্যা ছয়টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮’ এর সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি পরিচালিত চারজনকে গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হবে। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

উল্লেখ্য, ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা।  

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর