অবশেষে জয় হলো প্রেমের। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে স্বীকৃতি পেল হাদিয়ার বিয়ে। ‘লভ জিহাদ’ বিতর্কের মধ্যমণি হয়ে ওঠা ভারতের কেরল-কন্যা হাদিয়ার বিয়ে বৈধ, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়ে দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে হাদিয়ার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছর ২৪ বছর বয়সী হাদিয়ার বিয়ে বাতিল করে কেরল হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার কেরল হাইকোর্টের সেই রায় খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ।
শীর্ষ আদালত জানায়, কোনও প্রাপ্তবয়স্কের বিয়ের সিদ্ধান্ত হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। হাদিয়া-সৈফিন নিজেদের ইচ্ছায় এক হয়েছেন। হাদিয়াও স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
আদালত আরো জানায়, কোনও এজেন্সি বিয়ের তদন্ত করতে পারে না।
সূত্রে জানা যায়, ২৪ বছর বয়সী হার্দিয়ার জন্ম ভারতের কেরলের একটি হিন্দু পরিবারে। তাঁর নাম ছিল আখিলা অশোকান। শাফিনের সঙ্গে বিয়ের কয়েক মাস আগে হার্দিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নাম পরিবর্তন করে রাখেন হার্দিয়া। পরে হার্দিয়ার বাবা ভারতের কেরল হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এটা ‘লভ জিহাদ’-এর ঘটনা। জোর করে
আখিলাকে ধর্মান্তরিত করে শাফিন। পরে বিয়ে করতে বাধ্য করায়। হার্দিয়ার বাবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের কেরল হাইকোর্ট হার্দিয়ার বিয়ে বাতিল করে দেয়। পরে কেরল হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে (সুপ্রিম কোর্ট) যান হার্দিয়ার স্বামী শাফিন।
অবশেষে জয় হলো হার্দিয়া-শাফিনের।