‘পতন আসন্ন, তাই এমন আচরণ সরকারের’

মওদুদ আহমেদ। 

‘পতন আসন্ন, তাই এমন আচরণ সরকারের’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ভোট চাইতেই পারেন তবে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।

মওদুদ বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী নিজের খরচে জনসভা করেন, তাতে কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু সরকারি খরচে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ভোট চাইতে পারেন না।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আপনি ভোট চান আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে। এ সময় সরকারি গাড়ি নেবেন না, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীদের সভায় আনবেন না, নিরাপত্তা থাকবে না। বিধি মেনে আপনি করুন।

আপত্তি নেই। আর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে যদি আপনি ভোট চাইতে যান, তাহলে বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়াকেও ভোট চাইতে দিতে হবে। একই অধিকার দিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিএনপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, একদিকে প্রধানমন্ত্রী ভোট চাইছেন, অপরদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে। এটা তো অন্যায়, অনৈতিক ও বেআইনি। সুতরাং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পারেন না। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও ব্যক্তিগতভাবে পারেন।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ইসি বলছে, তফসিল ঘোষণার পরই তাদের নাকি কর্তৃত্ব। তারা এই অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারকে একটি চিঠি দিতে পারেন না? আপনারা (ইসি) সরকারকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ প্রচার বন্ধ করুন। আর তা না হলে খালেদা জিয়াকেও একই সুযোগ দিন।

বৃহস্পতিবার বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশি হামলাসহ কয়েকটি ঘটনার ব্যাপক সমালোচনা করেন মওদুদ।

তিনি বলেন, এই ঘটনা সারা জাতিকে হতভম্ব করেছে। কিন্তু এখানে একটি কথা আছে, একটা সরকার এটা কখন করে, সরকার কখন দিনের আলোতে এমন নৈরাজ্য ও বেপরোয়া হয়ে যায়? পতন যখন আসন্ন, তখনই এ ধরনের আচরণ করে। এই সরকারের পতন আসন্ন। সেই জন্যই তারা এ ধরনের ব্যবহার করতে পারে।

আগামী সপ্তাহে খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই প্রবীণ আইনজীবী।

সম্পর্কিত খবর