দুর্যোগ মোকাবিলায় রাঙামাটিবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান ডিসির

দুর্যোগ মোকাবিলায় রাঙামাটিবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান ডিসির

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিকে খুব শিগগিরই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) এ কে এম মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘গেল বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে রাঙামাটির ওপর দিয়ে বিরাট দুর্যোগ বয়ে গেছে। এই ক্ষতি পূরণ করা যাবে না। ’ আজ দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নবাগত জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।

‘যদি আমরা সকল জাতিগোষ্ঠী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি, তাহলে এ ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রাঙামাটিকে রক্ষা করা সম্ভব। তাই আসন্ন বর্ষা মৌসূমকে সামনে রেখে এখন থেকে কাজে লেগে যেতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন দলগঠন করা। যত দ্রুত সম্ভব রাঙামাটির সচেতন নাগরিকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলার বিশেষ দল গঠন করা হবে।

’ 

নবাগত জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ আরও বলেন, ‘প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্যোগের ঘটনা ঘটে। কিন্তু রাঙামাটি জেলার দুর্যোগের চিত্র ভিন্ন। এ অঞ্চলের মানুষ দুর্যোগের মধ্যে বসবাস করে। বিশেষ করে পাহাড় ধস, পানি ও আগুন দুর্যোগের অন্যতম কারণ। ’

নতুন ডিসির ভাষ্য, ‘রাঙামাটিকে বিরাট ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তার জন্য দুর্যোগ  কবলিত এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। এরপর পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করতে হবে। পাহাড় কাটা, হ্রদের ওপর অপরিকল্পিতভাবে বসতি স্থাপন, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। এসব বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। ’ 

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মো. নুরুল আমিন, জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক মো. দিদারুল আলম, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনি আক্তার প্রমুখ।

এর আগে ‘জানবে বিশ্ব জানবে দেশ, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ’ - স্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

 

মুমু/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
 

সম্পর্কিত খবর