মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে আইনজীবী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছিলাম, আদালত তা গ্রহণ করেছেন।
খালেদার জামিনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী- আদালত যেদিন আপিল গ্রহণ করেন, সেদিন জামিন আবেদন করেছি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন-নিম্ন আদালত থেকে নথি আসার পর খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।
সোমবার বিকাল তিনটার একটু আগে এজলাস থেকে বেরিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাংবাদিকদের সামনে আসেন তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আঙুল উঁচিয়ে ‘ভি’ চিহ্ন দেখান।মওদুদ বলেন, রোববার নথি আসার পর আজ আদালতে তা উপস্থাপন করা হয়। এরপর আদালত খালেদা জিয়ার চার মাসের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন।
১৬ কোটি মানুষের আশা পূরণ হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষ আশায় ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া সেখানেই বন্দী রয়েছেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)