বিধ্বস্ত বিমানে রাজশাহীর ছয়জনের ৫জন নিহত

বিধ্বস্ত বিমানে রাজশাহীর ছয়জনের ৫জন নিহত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত বিমানটিতে রাজশাহীর তিন দম্পতি ছিলেন। এই ছয়জনের মধ্যে বেঁচে আছেন শুধু রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নারী শিক্ষক ইমরানা কবির হাসি। বাকি পাঁচজন নিহত হন। হাসি কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।

তারা সবাই নেপালে ভ্রমনের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ফেসবুক আইডিত থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। তালিকার ৩২ বাংলাদেশির মধ্যে ইমরানা কবির হাসির নাম রয়েছে ১৪ নম্বরে।

প্রকৌশলী রকিবুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালীর বাঘুটিয়া গ্রামে।

হাসির বাড়ি টাঙ্গাইলে। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে পাস করে সেখানেই শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন হাসি। আর তার স্বামী একই বিভাগের জিরোসিক্স সিরিজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

রকিবুল ঢাকায় একটি বেসরকারি সফটওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। হাসি রাজশাহীর মুন্নাফের মোড় এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

অন্য দুই দম্পতি হলেন- নগরীর শিরোইল এলাকার বাসিন্দা হাসান ঈমাম, তার স্ত্রী নাহার বিলকিস বানু এবং উপশহর এক নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আক্তারা বেগম।

নাহার বিলকিস বানু রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর মালেকের বোন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক ছিলেন। আর তার স্বামী হাসান ঈমাম ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব।

নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তার স্ত্রী আক্তারা বেগম ছিলেন রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক। তারা অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) গেছেন।

অবসরগ্রহণের আগে এই ছুটিতে তারা নেপালে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এই বিমানটিতে ৬৭ যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিল। দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।